• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘রশিদকে ভয়ের কিছু নেই’

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

‘রশিদকে ভয়ের কিছু নেই’

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে সংবাদমাধ্যমে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেছিলেন, ‘রশিদ খান বা মুজিব উর রহমানদের চার-ছয় মারা এত সহজ নয়।’ তার এই মন্তব্যে সমীহ এবং শ্রদ্ধা ছিল আফগানিস্তানের দুই স্পিনার রশিদ ও মুজিবের জন্য। তবে ম্যাচের পর মোসাদ্দেক বলেন, তাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

তবে অনেকেই এ মন্তব্যের সমালোচনা করে প্রচার করতে থাকেন, ম্যাচের আগেই আফগানদের ভয় পেয়ে বসে আছে বাংলাদেশ। আগেই হাত-পা গুটিয়ে নিয়েছেন টাইগাররা। নিন্দুকদের এমন আস্ফাালন যে যৌক্তিক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে শনিবারের ম্যাচেই।

যেই মোসাদ্দেকের কথায় শুরু হয় সমালোচনা, সেই মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকেই আসে রশিদ খানের বিপক্ষ প্রথম চার। পরে একই ওভারে সাকিব আল হাসান একটি চার ও ছয় মেরে রশিদের এক ওভার থেকেই তুলে নেন ১৮ রান। মূলত রশিদের করা সেই ওভারেই ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে ফেলেছিল বাংলাদেশ।

তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮ বলে ২৭ রান। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে দেরিতে বোলিং করতে আসা রশিদেরই বাকি ছিল ২ ওভার। নিজের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন তিনিই।

এমতাবস্থায় ১৮তম ওভারটি করতে আসেন রশিদ। তাকে মুখোমুখি প্রথম বলেই পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে চার মারেন মোসাদ্দেক। জানান দেন, রশিদকে বাউন্ডারি মারা কঠিন হলেও, সেই কাজটি করার সামর্থ্য অন্তত রয়েছে তার নিজের ও পুরো দলের। যার প্রমাণ মেলে পরে স্লগ সুইপে সাকিব বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকালে।

ম্যাচের আগে রশিদ-মুজিবদের জন্য এত শ্রদ্ধা। কিন্তু ম্যাচে সেই রশিদের ওভারেই ১৮ রান তুলে নেওয়া। তাহলে কি মাঠে নামার আগে অযথাই রশিদকে ভয় পাচ্ছিল বাংলাদেশ? শনিবারের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রশ্নটি শুনতে হলো মোসাদ্দেককেই। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা রশিদ খানকে ভয় পাই কখনো বলিনি। এখানে রশিদ খানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

বাংলাদেশের ইনিংসে অষ্টম ওভারে ফিল্ডিং করার সময় রান বাঁচানোর প্রয়াসে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে রশিদের। তৎক্ষণাৎ মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। যে কারণে ১৪তম ওভারের আগে আসতে পারেননি বোলিংয়ে। ইনজুরি নিয়েই নিজের প্রথম দুই ওভারে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরের উইকেট নেন রশিদ। কিন্তু পারেননি নিজের তৃতীয় ওভারে।

তাহলে কি রশিদের ইনজুরিটা কাজ করেছে বাংলাদেশের পক্ষে? মোসাদ্দেক বলেন, ‘ও (রশিদ) ব্যথা পেয়ে বাইরে গেল কিন্তু এসেই উইকেট নিল। এটা এখন বলতে পারবেন না যে, ইনজুরড ছিল বা ইনজুরড না থাকলে আরো ভালো বোলিং করতে পারত। উইকেটে যদি স্পিন ধরে তাহলে ব্যাটিং করা সব সময়ই কঠিন। এটাই আসলে ক্রিকেট খেলা। আমাদের সুযোগ নেওয়াই লাগত তখন। আমরা ওর ইনজুরি নিয়ে কোনো চিন্তা করিনি।’

তবে রশিদের এক ওভারেই ১৮ রান নিলেও, চট্টগ্রামের উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না বলে জানিয়ে গেছেন মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, ‘আসলে বোলিংয়ে ৪-৫ ওভার যাওয়ার পর বুঝলাম এটা চট্টগ্রামের সহজাত উইকেটের মতো নয়। উইকেটে স্পিন গ্রিপ করছিল। রান করা কঠিন ছিল। ব্যাটিং করছিলাম তখন বুঝছিলাম যে রান করা আরো কঠিন। আমাদের ছয় ওভারে ২৮ রানে দুই উইকেট ছিল। ওখানে যদি আরো ১০ রান হতো তাহলে হয়তো ঠিকঠাক থাকত।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads