• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কে জিতবে শিরোপা

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল আজ

কে জিতবে শিরোপা

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আরেকটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। শিরোপায় চুমু খেতে পারবে সাকিবরা, নাকি শেষ হাসিটা হাসবে রশিদ খানের আফগানিস্তান? ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। বারুদে উত্তাপ ছড়ানো ফাইনাল শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।

কিছুদিন আগেও ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি ছিল আক্ষেপের নাম। তবে চলতি বছরেই সে আক্ষেপ শেষ হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নতুন ইতিহাসে নাম লেখায় বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে এমন ট্রফি জেতার রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আজ সেই সুযোগ সাকিবদের।

জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে টপকে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকে ফাইনালে আসা দলের নাম বাংলাদেশ। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আফগান জুজু তাড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ। আজ ফাইনালের আগে সেই জয় অনেক প্রেরণার। তবে আফগানিস্তান কেমন দল, তাদের স্পিন কতটা ভয়ংকর, তা সবারই জানা। শিরোপা জিততে হলে সব বিভাগেই ভালো করার বিকল্প নেই।

ফাইনালের আগে গতকাল আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠে এলেও নিজ দলের পারফরম্যান্সে খুব একটা মন ভরেনি ডমিঙ্গোর। আর তা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।

ত্রিদেশীয় সিরিজে মিরপুর শেরেবাংলার সেই প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে জহুর আহমেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে এক নড়বড়ে বাংলাদেশকে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দৃষ্টিকটু ওপেনিং, নড়বড়ে মিডল অর্ডার ও অধারাবাহিক লোয়ার মিডল অর্ডার। বোলিংও আহামরি ভালো ছিল না। বিশেষ করে ঢাকা পর্বে। অর্থাৎ টোটাল টিম এফোর্ট কোনো ম্যাচেই দেখা যায়নি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটিতে আফিফ, দ্বিতীয়টিতে মাহমুদউল্লাহ ও শেষটিতে সাকিব জ্বলে না উঠলে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল স্বাগতিকদের জন্য হয়ে উঠত দূরের বাতিঘর।

সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা এখনো আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। এখনো সময় রয়েছে ভালো করা নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় যেটা করতে পারলে ভালো খেলা সম্ভব। বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। প্রথম ৫-৬ ওভারে ২-৩টি উইকেট হারাচ্ছি। প্রথম ১০ ওভারে আমরা বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলছি। এই জায়গাটায় আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। ১৫ ওভারের মধ্যে যেন দুটি উইকেটের বেশি হারাতে না হয়, যাতে শেষ ৫ ওভারে বেশি রান তোলায় মনোযোগী হতে পারি। এই জায়গাটায় আমাদের উন্নতি করতে হবে বলে আমি মনে করি। আশা করি আমরা সেটা পারব।’

রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীদের ঘূর্ণি জাদুর সামনে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটই ছিল থরো থরো। ফাইনালেও যে তার ব্যতিক্রম দেখা যাবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কী?

না, কোনো নিশ্চয়তা দেননি সাকিবদের গুরু। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘আমরা জানি আফগানিস্তান খুব ভালো দল। কিন্তু আমরা জানি যে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যে কোনো দলকে হারাতে পারি আমরা। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের কৌশল ঠিক রেখে মানসিকভাবে যদি প্রস্তুত থাকি যে আমরা আফগানিস্তানকে হারাতে পারব তাহলে বাংলাদেশ জিতলেও অবাক হব না।’

মুশফিকুর রহিমের উইকেটকিপিং নিয়ে প্রবল সমালোচনা থাকলেও এই মুহূর্তে তার কাছ থেকে কিপিং গ্লাভস সরিয়ে নেওয়ার কারণ দেখছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। উইকেটের পেছন থেকে মুশফিক যেভাবে পুরো মাঠ দেখে অধিনায়ককে পরামর্শ দেন, দলের জন্য তা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ।

নানা সময়ে নানা কোচ, অধিনায়ক বা দল সংশ্লিষ্টরা মুশফিকের কিপিং করা নিয়ে প্রায় একই ধরনের কথা বলে আসছেন। এবার নতুন কোচের কণ্ঠেও শোনা গেল তারই প্রতিধ্বনি। দলে যদিও লিটন দাস আছেন, যাকে মনে করা হয় মুশফিকের চেয়ে ভালো কিপার। কিন্তু উইকেটের পেছনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন কোচ।

‘এই মুহূর্তে সম্ভাবনা নেই (কিপিং থেকে সরানোর)। লিটন মাঠে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট। সে দারুণ ফিল্ডার, মুশির চেয়ে ভালো ফিল্ডার। আমার মতে, যতজন ভালো ফিল্ডারকে আমরা পাই, তত দলের জন্য ভালো। লিটন-আফিফ-শান্তর মতো ফিল্ডাররা যে ৫-৬ রান বাঁচায় মাঠে, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তাহলে লিটন ভালো ফিল্ডার বলেই মুশফিককে কিপিংয়ে রেখে দেওয়া? ডমিঙ্গোর মতে, সেটি একটি কারণ। পাশাপাশি আছে আরো কিছু বাস্তবতা।

‘এটি একটি কারণ, লিটন ভালো ফিল্ডার। মুশি সম্প্রতি দুয়েকটি বল মিস করেছে বটে। তবে মুশি যেভাবে কিপিং করে, তাতে এমনিতে আমি খুশি। স্টাম্পের পেছনে সে দারুণ প্রাণবন্ত, অনেক অভিজ্ঞ, স্টাম্পের পেছন থেকে খুব ভালো দেখতে পারে বলে অধিনায়ককে কার্যকর কিছু পরামর্শ দিতে পারে সে। সে কিপিং করলে অনেক সুবিধা পাই আমরা।’ 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads