• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
এবার নিরাপত্তা আশঙ্কায় বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

এবার নিরাপত্তা আশঙ্কায় বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৭ নভেম্বর ২০১৯

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ সফরে ভারত ভ্রমণ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে এ সফরে একের পর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে। বাংলাদেশের এবারের ভারত সফর নিয়ে নানা ঘটনা চোখে পড়ছে। সফরের আগে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হন। দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের মাঝে খেলেছে বাংলাদেশ। রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা। তবে সেটা অনেকটাই কেটে গেছে বলে  জানা গেছে। এখন নতুন সমস্যা ইন্দোরে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ নিয়ে।

ইন্দোরে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ প্রথমটি নিয়ে। নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে এই ম্যাচটি ঘিরে। আগামী ১৪ নভেম্বর ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত ও বাংলাদেশ। তবে প্রায় একই সময় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বহুল আলোচিত অধ্যোয় রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিতে পারেন। আর এ নিয়ে জনতার মাঝে দেখা দিতে পারে বিশৃঙ্খলা। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যাচ থেকে নিরাপত্তাবাহিনী সরিয়ে অন্যত্র ব্যবহার করা হতে পারে। বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণ করার চেষ্টা নিয়ে ১৯৯২ সালে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষে প্রায় ২০০০ লোক নিহত হয়। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল মুসলমান। এরপর থেকে এই ইস্যু নিয়ে আরো কয়েকবার দাঙ্গা বাধে। এবারো তেমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে। এরই মধ্যে সেখানে বাংলাদেশ ও ভারত প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায়, ভারতের বাবরি মসজিদ নিয়ে যেকোনো ধরনের ঘটনার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও এসে পড়ে। বাংলাদেশেও মিছিল-সমাবেশ হয়। আর সেটা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের খেলোয়াড়দের মনে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ে। ফলে শুধু নিরাপত্তা বিঘ্নিতই নয়, দু’দলের খেলোয়াড়রাও মানষিকভাবে বাধাগ্রস্ত হয় স্বাভাবিক খেলা খেলতে। অবশ্য ক্রিকেটে এই প্রভাবের পরিমাণ খুব বেশি থাকে না। কারণ, বেশির ভাগ ক্রিকেট খেলোয়াড়ই উদার মনের হয়ে থাকেন তাদের মনোভাব প্রকাশে। 

তবে ম্যাচের সময় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা নিয়ে যাতে কোনো প্রকার ঝামেলা না হয় সেজন্য মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) বেসরকারি পর্যায় থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে।

এমপিসিএর এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের শীর্ষ পর্যায় ও পুলিশের সঙ্গে কিছুদিন আগে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী বাড়াতে তারা আমাদের পরামর্শ দিয়েছে। পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় কোনো প্রয়োজন হলে ম্যাচ সরিয়ে নিতে হতে পারে।’

পরে ইন্দোর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বরুণ কাপুর বলেন, ‘আলোচনা অনুযায়ী তাদের (এমপিসিএ) উচিৎ বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী ভাড়া করা, যেটা তারা আগেও করেছে। এই মুহূর্তে নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে কেউই ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে বলতে পারে না। আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা প্রদান করব।’

এমপিসিএর এক মুখপাত্র জানান, ম্যাচ চলাকালীন প্রায় এক হাজার ২০০ পুলিশ স্টেডিয়াম চত্বরে থাকতে পারে। এছাড়া ৫০০ বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads