• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বড় শাস্তির মুখে শাহাদাত

সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

বড় শাস্তির মুখে শাহাদাত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর ২০১৯

চলমান জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের হয়ে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে শারিরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শিপারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ তৃতীয় দিন থেকেই বল করতে পারেননি তিনি।

শাহাদাত বলেন, ‘চলমান এনসিএলের ম্যাচে আজ আমাকে বল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমি এখন নিষিদ্ধ। ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা আমি জানিনা।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক পাশে বল করার সময় আরাফাত সানি সঠিকভাবে বল করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এতেই তিনি তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঝাপিয়ে পড়েন এবং মারধর করতে থাকেন। পরে সতীর্থরা সানিকে উদ্ধার করে।

শাহাদাত বলেন, ‘আমি আসলে মেজাজ ধরে রাখতে পারিনি। তবে সেও আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। সে সঠিকভাবে বল করতে পারছিল না। আমি এর কারণ জিজ্ঞেস করলে সে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে , তাতে মেজাজ ধরে রাখাটা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।’

বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির একজন কর্মকর্তা জানান, অপরাধ স্বীকার করার পর শাহাদাতকে খুলনা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এটি বিসিবির আচরণ বিধির ৪- লেভেলের অপরাধ।

তিনি বলেন ‘এই পর্যায়ের অপরাধের শাস্তি হিসেবে একজন ক্রিকেটারকে বিসিবির যে কোন টুর্নামেন্ট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে তার ৫০,০০০ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হবে।

শাহাদাত তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন এবং নিজ বাসায় ফিরে এসেছেন। আমরা ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। তারাই শাহাদাতের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আপাতত তিনি এনসিএলে খেলতে পারবেন না।’

ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শিপার বলেন, তিনি এ ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে তার রিপোর্টটি বিসিবির কাছে জমা দিয়েছেন। আখতার বলেন, ‘কৃত কর্মের জন্য শাহাদাতের বিষয়ে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের কোন এখতিয়ার ম্যাচ রেফারির নেই। তার অপরাধটি আচরণ বিধির লেবেল -৪ এ পড়ে।

এটি একটি বড় অপরাধ। কারণ এটি এমন কোন অপরাধ নয় যেখানে অসদাচরণ বা অপমান করা হয়েছে। সে তার সতীর্থকে লাথি মেরেছে। এখন রিপোর্টটি বিসিবির কাছে পাঠানো হয়েছে। বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে তাকে কি ধরনের শাস্তি দিবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads