• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
পাপনের মতের বিপক্ষে সুজন

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

পাপনের মতের বিপক্ষে সুজন

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

জাতীয় ক্রিকেট দলে যখনই কোনো কোচের পদ খালি হয়, তখনই বিকল্প হিসেবে বিদেশি কোচের দিকেই নজর থাকে বিসিবির। মাঝে মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দেশি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলেও পূর্ণ মেয়াদে ছিলেন না কেউই। কারণ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মতে, স্কিলে বিদেশিদের থেকে দেশের কোচরা অনেক পিছিয়ে। কিন্তু বিসিবি সভাপতির এ মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন দেশের অন্যতম সেরা কোচ ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে, বিদেশিদের মতো তারাও সমান দক্ষ।

বুধবার বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। দক্ষিটটণ আফ্রিকা দলের কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় ছয় মাস না পেরোতেই কাজ ছাড়ছেন তিনি। অথচ আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল তার। স্বাভাবিকভাবেই তার চলে যাওয়ায় আবারো গুঞ্জন উঠেছে কে হচ্ছেন নতুন পেস বোলিং কোচ। আর এ পদে আগ্রহ দেখিয়েছেন সুজনও। কিন্তু বিসিবি সভাপতি দেশিদের ওপর আস্থা পান না। আর তাই পাপনের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন সুজন, ‘পাপন ভাই কেন বলেছেন আমি জানি না। আমি মনে করি না স্কিলের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। ক্রিকেট আসলে ফিক্সড টেকনিক্যাল একটা খেলা। এটাতে কাভার ড্রাইভ, স্কয়ার কাট যখন মারবে একই টেকনিকে সব ব্যাটসম্যান মারে। কেউ কিন্তু অন্যভাবে মারতে পারবে না, এটা কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না। হতে পারে উনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন কাগজে-কলমে আমরা হয়তো পিছিয়ে আছি। হতে পারে গেম প্ল্যানিং, সেখানে কিন্তু আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। স্কিলের দিক থেকে আমি মনে করি না কেউ পিছিয়ে আছি আমরা।’

স্কিল থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পাচ্ছেন না বলে জানালেন বিসিবির এ পরিচালক, ‘আমাদের স্কিল জানা আছে সুযোগ পাচ্ছি না আমরা। আপনি একটা কোচকে কীভাবে যাচাই করবেন, আপনি তো একটা সিরিজ দিয়ে যাচাই করতে পারেন না। বাংলাদেশ দল যদি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলে আপনি কি একজন কোচকে যাচাই করতে পারবেন। একটা সময় কাজ করলে আপনি যাচাই করতে পারবেন। দল কেমন, কাদের বিপক্ষে খেলছেন, কী পরিকল্পনা, কোন কন্ডিশনে খেলছেন সবকিছুই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোচের জন্য। একজন কোচ নিয়োগ দিয়ে তার ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব জরুরি। এবং তাকে সে সময়টা দেওয়া উচিত।’ আর কেন বাংলাদেশের কোচদের সুযোগ দেওয়া উচিত তার পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন সুজন। খুলনা টাইগার্সের কোচ জেমস ফস্টারের উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যারা ভালো কোচিং করাচ্ছে এখন তাদের একটা সুযোগ এখন দেওয়া যেতেই পারে। আমি জেমস ফস্টারের কথাই বলি, মাত্রই খেলা ছাড়লেন। ২০১৮ সালে। এক বছরের মধ্যেই কিন্তু বিপিএলের হেড কোচ হচ্ছেন। সে সুযোগটা কিন্তু আমাদের ছেলেদের নেই। বিসিবির উচিত স্থানীয় কোচদের তুলে আনা কাজের সুযোগ করে দেওয়া, সেটা জাতীয় দল হতে পারে এইচপিতে হতে পারে।’ ল্যাঙ্গেভেল্ট চলে যাওয়ায় শূন্য পদে আগ্রহ দেখিয়েছেন সুজন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন নয়, পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব চান। এর আগে কয়েক দফা প্রধান কোচ হিসেবে সাময়িক দায়িত্বে ছিলেন এ কোচ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads