• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সেরা তালিকায় সাকিবের সেঞ্চুরি

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

সেরা তালিকায় সাকিবের সেঞ্চুরি

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২০

সাকিব আল হাসান ছাড়াই শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সাকিব থাকলে নিঃসন্দেহে এবারের বিপিএল আরো অনেক বেশি জমজমাট হতো। বিপিএলের বাইরে থাকলেও সাকিব তার নৈপুণ্যের স্বীকৃতি পেয়ে চলেছেন একের পর এক। বিশ্বকাপে তার সেঞ্চুরিটি এবার বর্ষসেরা তালিকায় স্থান দিয়েছে ‘ক্রিকইনফো’।

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ব্যাট হাতে ছিলেন জীবনের সেরা ফর্মে। টুর্নামেন্টের ৮ ম্যাচে ৫ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে প্রায় ৮৭ গড়ে ৬০৬ রান করেছিলেন সাকিব। যে ম্যাচে ফিফটি পেরুতে পারেননি, সেটিতেও করেছিলেন ৪১ রান। বল হাতেও নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বিশ্বকাপের ৪৪ বছরের ইতিহাসে এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স সাকিব ছাড়া বিশ্বের আর কেউ দেখাতে পারেননি।

বিশ্বকাপের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন সাকিব। সেই বিশ্বকাপের সুবাদেই উইজডেনসহ বেশ কিছু ওয়েবসাইটের ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে ছিলেন তিনি। সে ধারাবাহিকতায় এবার ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে ব্যাটিং ইনিংসের জন্যও মনোনীত হয়েছেন সাকিব।

জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো বাছাই করছে ২০১৯ সালের সেরা ওয়ানডে ইনিংসগুলো। সেখানে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হয়েছে ১০টি ইনিংস। এই ১০ ইনিংসের ৯টিই আবার বিশ্বকাপের। যার মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ১২৪ রানের ইনিংসটিও।

মনোনীত প্রতিটি ইনিংসের ব্যাপারেই নিজেদের মূল্যায়নও জানিয়েছে ক্রিকইনফো। সাকিবের সেই ইনিংস সম্পর্কে তারা লিখেছে, ‘তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে রান তাড়া করে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় এনে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পুরো ইনিংস খেলার সময় ডি/এল মেথডের ব্যাপারেও চিন্তা করতে হয়েছে।’

ক্রিকইনফো আরো লিখেছে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা তার পাঁজর বরাবর বাউন্সার করছিল কিন্তু সাকিব অসামান্য দক্ষতায় সেগুলোকে পাল্টা জবাব দিয়েছিল। টন্টনের ছোট বাউন্ডারি, আন্দ্রে রাসেলের অফফর্ম এবং খানিক ভাগ্যের সহায়তায় লিটন দাসকে নিয়ে ১৮৯ রানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব। নিজের পুরো ইনিংসে মনোমুগ্ধকর কিছু বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। আবার কিছু শটে অল্পের জন্য বেঁচেও গিয়েছিলেন।’

উল্লেখ্য, একটি ছোট্ট ভুলের জন্য সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক এক বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তিনি জুয়াড়িদের ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাবকে গ্রহণ করেননি। তবে সেটা নিজ বোর্ডকে (বিসিবি) অবহিত করেননি। এর জন্য তিনি শাস্তি নাও পেতে পারতেন। কারণ তার চেয়ে অনেক বড় বড় অন্যায় করেও শাস্তি না পাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। যাহোক, শাস্তি হয়ে গেছে তার, এটাই সত্য। সেই সত্যকে মেনে নিয়ে নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করতে মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সম্পদ সাকিব। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads