• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বস্তিতে মিসবাহ

ফাইল ছবি

ক্রিকেট

বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বস্তিতে মিসবাহ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি ২০২০

মিসবাহ-উল-হক। পরপর দুই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলে তো কোচের দম বন্ধ লাগারই কথা! সেই অস্বস্তি থেকে আপাতত মুক্তি মিলেছে। বাংলাদেশকে সিরিজে হারানোর পর এখন সামনে তাকানোর ফুরসত পাচ্ছেন পাকিস্তান কোচ।

দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সারির দলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ২-০তে হেরে এসেছে পাকিস্তান।

তাতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে একটি ম্যাচ হারলেও হয়ে যেত তাদের অবনমন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিরিজটি পাকিস্তান জিতেছে ২-০তে।

দলের বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনার শূলে চড়ানো হয়েছিল মিসবাহকেও। দলের কোচই শুধু নন, প্রধান নির্বাচকও তিনি। ক্ষমতা যেহেতু প্রবল, দায়ও তারই সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান কোচ বলছেন, বাংলাদেশকে হারানোর পর সেই চাপ কিছুটা কমেছে। ‘অবশ্যই আমরা সব সময়ই জয়ের জন্য খেলি, জিততে চেষ্টা করে যাই। এই জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটু স্বস্তির শ্বাস নিতে। এখন দেখার অবকাশ মিলবে, কোথায় আমাদের দুর্বলতা আছে, কোথায় শক্তি বাড়াতে হবে। চাপে থাকলে যেটা হয়, সব সময়ই অস্থিরতায় থাকতে হয় এবং অনেক কিছুই ধরা পড়ে না।’

মিসবাহ আরো বলেন, ‘এখন আমার জন্য, দলের জন্য, তরুণদের জন্যও এটা ভালো যে কিছুটা স্বস্তিতে থাকা যাবে এবং এই জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সামনে এগিয়ে চলায় আরো মনোযোগ দিতে পারব আমরা।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি জয়েই বড় অবদান রেখেছে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ। তরুণ সেই বোলিং আক্রমণকে স্তুতিতে ভাসালেন কোচ। ‘কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের বোলিং লাইন আপকে।

আমাদের তরুণ বোলাররা দুই ম্যাচের একটিতেও বাংলাদেশকে কোনোরকম সুযোগ দেয়নি, ওদেরকে হুমকি হয়ে উঠতে দেয়নি। সব মিলিয়ে এটি দারুণ একটি সিরিজ, পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য যা ভালো।’

সিরিজের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স। অধিনায়ক বাবর আজমের চাওয়ায় এই সিরিজ দিয়েই দলে ফেরানো হয় শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজকে। প্রথম ম্যাচের জয়ে নায়ক ছিলেন মালিক, দ্বিতীয় ম্যাচে বড় অবদান রাখেন হাফিজ।

মিসবাহ কোচ ও প্রধান নির্বাচক হওয়ার পর থেকে দলে ক্রমাগত পরিবর্তন আনছিলেন। তবে এই সিরিজের পর উপলব্ধি করতে পেরেছেন, অভিজ্ঞতার ও তারুণ্যের সমন্বয় প্রয়োজন সাফল্যের জন্য। ‘ওই দুই সিনিয়র দলে না থাকার সময়, আমাকে ক্রমাগত প্রশ্ন করা হয়েছে।

আমি কখনোই বলিনি কারো ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু কখনো কখনো চারপাশে তাকিয়ে একটু রসদ পরীক্ষা করে নিতে হয়, পরখ করতে হয় কোথায় অবস্থান আমাদের। দুটি সিরিজ হারার পর আমরা বুঝতে পেরেছি, পুরোপুরি তরুণদের ওপর নির্ভর করা যাবে না, অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন আছে। বাবর ওদেরকে সমর্থন করেছে, প্রত্যাশিতভাবেই ওদের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লেগেছে। দরজা কখনোই বন্ধ নয়। কোনো ক্রিকেটার ফিট থাকলে, পারফর্ম করলে ও দলের প্রয়োজন হলে, অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads