• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশের খেলা প্রশংসিত

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বাংলাদেশের খেলা প্রশংসিত

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ মার্চ ২০২০

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না ক্রিকেটে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর থেকে শুরু। এরপর শ্রীলঙ্কা সফর, দেশের মাটিতে আফগানিস্তান, পরে ভারত ও পাকিস্তান সফরেও হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছিল না বাংলাদেশ। দুর্বল জিম্বাবুয়েকে পেয়ে দুর্বার হয়ে ওঠেন তামিম ইকবালরা। যে কারণেই হোক, এবার আফ্রিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের খেলা প্রশংসিত হচ্ছে।

কোচ মোহাম্মদ সরোয়ার ইমরান অবশ্য মনে করছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে না পারলে ভবিষ্যতেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেও বড় দলগুলোর কাছে হারতে হবে। বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সরোয়ার বলেন, ‘জয়টাকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। হয়তো এ মুহূর্তে জিম্বাবুয়ের চেয়ে আমরা শক্তিশালী দল। তাই বলে কি শক্তিশালী দল হারে না? ভালো পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ। লিটন দাস পুরো টুর্নামেন্টে ভালো করেছে। এখন বড় দলের বিপক্ষেও ভালো করবে। অনেকেই বলছেন, এই বোলিংয়ের বিপক্ষে এভাবেই খেলা উচিত। এটা ঠিক যে, বোলিংয়ের মান ভালো ছিল না জিম্বাবুয়ের। তারপরও ভালো পারফম্যান্স।’ তিনি বলেন, ‘লিটনের বল টাইমিং করার ক্ষমতা দেখিয়েছে। তার দুটো মাথা (টেকনিক ও সক্ষমতা)। সেগুলোর ভালো ব্যবহার করেছে। তার অনেক কিছু দেখানোর ছিল। জিম্বাবুয়ে দুর্বল হতে পারে, কিন্তু তাদের বিপক্ষেও আমরা সব সময় জিতি না। এবার তারা নতুন দল। একটু বেশি দুর্বল। কিন্তু খাটো করে দেখা উচিত নয়।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফরম্যান্স পরবর্তী সিরিজগুলোতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন সরোয়ার ইমরান। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার পাকিস্তান যাব। এই সিরিজটা অনুপ্রেরণা হতে পারে আমাদের। সবাই বিশ্বাস করবে যে, আমরা রান করতে পারি। যদিও টেস্টে খেলার মতো টেকনিক ও মানসিক অবস্থায় এখনো পৌঁছিনি আমরা। বছরে মাত্র কয়েকটা টেস্ট খেলি। চার দিনের ম্যাচও সেভাবে হয় না। তবু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা কাজে দেবে।’ এখান থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা দরকার বলে মনে করছেন সরোয়ার, ‘আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ। আমরা যদি পরিকল্পনা করতে না পারি, ভালো অনুশীলন করতে না পারি, তাহলে হয়তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলেও বড় দলের কাছে হারব। ভালো খেলার পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের শিখতে হবে একজন বোলার কতক্ষণ ভালো বল করবে। সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা। তাই এক ঘণ্টা যদি ওই বোলারকে খেলা যায়, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ থাকবে। পাকিস্তানে হয়তো তিনজন পেস বোলার থাকবে। সে ক্ষেত্রে দুজন বোলারকে যদি ভালোভাবে খেলা যায়, পরের জনকে ভালো খেলার সুযোগ আসবে। টপঅর্ডারে ভালো খেলে যেতে পারলে পরের ব্যাটসম্যানদেরও সুযোগ আসে।’

সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন দাপুটে খেলা খুব একটা দেখা যায় না। এমন ধারাবাহিকতা তারা খুব কমই দেখাতে পারে। অনেকের ধারণা, জিম্বাবুয়ে দুর্বল দল। কিন্তু যেকোনো জাতীয় দলের বিপক্ষেই ধারাবাহিকতা রেখে ভালো খেলা কঠিন। লিটন, তামিম যেভাবে ব্যাট করেছে সেটা দেখার মতো ছিল।’ তিনি বলেন, ‘এই মানসিকতায় এগিয়ে যেতে পারলে ভবিষ্যতেও বড় দলগুলোকে সহজ মনে হবে। সাফল্য আসবেই। এই সিরিজটা দারুণ একটা মানসিকতা তৈরি করে দিতে পারে বাংলাদেশ দলকে।’

বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘জাতীয় দলের সবাই ভালো পারফর্ম করেছে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশ, দেখতে ভালো লেগেছে। এভাবে যেকোনো দলের বিপক্ষে খেললেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। টানা ব্যর্থতার মধ্যে ছিল দল। এমন মোমেন্টামের দরকার ছিল। এই সিরিজে খেলার ধরন মাথায় নিয়ে এগোতে পারলে সামনে সাফল্য আসবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads