• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’

সাদমান ইসলাম ও মৃতঞ্জয় চৌধুরী দু্ই বাংলাদেশি ক্রিকেটার অষ্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে এখন আছেন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’।

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০২০

বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের উদ্দেশে।

দুজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে মেলবোর্নে। সাদমান গিয়েছিলেন কবজির চোটে পড়ে। আর মৃত্যুঞ্জয়ের চোটটা ছিল কাঁধে। সফল অস্ত্রোপচার শেষে দুই ক্রিকেটার দেশে ফিরেছেন গত মঙ্গলবার রাতে। দেশে ফিরেই দুজনই গেছেন ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের হোম কোয়ারেন্টিনের ঘটনা এটাই প্রথম। 

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনা মেনে নিজেকে আপাতত গৃহবন্দী করে রেখেছেন সাদমান ও মৃত্যুঞ্জয়। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদমান বললেন, ‘নির্দেশনা মেনে দুই সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। নিয়ম মেনে দুই সপ্তাহ পর বের হব।’ মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে ব্যাপারটা স্বাভাবিকই, ‘যেহেতু দেশের বাইরে থেকে এসেছি, তাই দুই সপ্তাহ ঘরে এমনিতেই থাকতে হতো।  

এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদও। দুই দিন আগে তিনি দেশে ফিরেছেন ব্যাংকক থেকে।

সরকারের নির্দেশনা মেনে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকায় কাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি কাজী ইনাম। সাধারণত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় ১৪ দিন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়ে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা যেকোনো ব্যক্তিকে সব সময় বাড়িতেই অবস্থান করতে হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে নিজেকে কিছুটা আলাদা রাখতে হয়।

পরিবারের অন্য সদস্যের ব্যবহৃত গৃহস্থালি জিনিস যেমন থালা বাসন, কাপড়চোপড় ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হয়। হাঁচি–কাশির সময় টিস্যু পেপার বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হয় ইত্যাদি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads