• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
টার্গেট হোয়াইটওয়াশ

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডে আজ

টার্গেট হোয়াইটওয়াশ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০২১

টানা দুটি জয় এসেছে খুব সহজেই। তৃতীয় ম্যাচেও জিতবে বাংলাদেশ, এমন ভাবনা অমূলক নয়। টাইগার দলপতি তামিম ইকবালও সে রকমই ভাবছেন। তবে তার ভাবনটা একটু ঘুরিয়ে। তিনি চাচ্ছেন শেষের ১০টি পয়েন্ট জিততে। মানে একই দাঁড়াচ্ছে, শেষ ম্যাচটি জিতলেই সেই ১০ পয়েন্ট যোগ হবে বাংলাদেশের ঝুলিতে। লক্ষ্যটা সে অর্থে দাঁড়াচ্ছে হোয়াইটওয়াশই।

আজ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।

প্রথম ম্যাচে ১২২ রানে অল আউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৯ রানে। টানা দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ জেতে ৬ ও ৭ উইকেটের ব্যবধানে। আজ তৃতীয় ম্যাচে উইন্ডিজ কোচ সিমন্সের চোখ বড় স্কোরে। অন্তত ২৩০-২৫০ রান করার আহ্বান তিনি জানিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের প্রতি। 

বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করারও। শেষ ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চ যাচাই করে নেওয়ার বড় সুযোগ থাকছে দলটির। এমন ম্যাচেও বড় পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চান না অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ওয়ানডে সিরিজে নামার আগেই আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপ ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন তামিম। সরাসরি বিশ্বকাপ জায়গা পেতে র্যাংকিংয়ে সেরা আটে থাকতে হবে টাইগারদের। অন্যথায় খেলতে হবে বাছাই পর্ব। তাই বাছাই এড়াতে এ সময়ের মধ্যে থাকা প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তামিম। তাই শেষ ম্যাচে পরীক্ষা নিরীক্ষার পক্ষে নন অধিনায়ক। মূল্যবান ১০টি রেটিং পয়েন্টই লক্ষ্য তার।

শেষ ম্যাচে তাই নিজের সেরাটা দিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানরা যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকায় কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নন টাইগার অধিনায়ক। মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে গতকাল তামিম বলেন, আমরা সিরিজ জিতে গেছি বটে। তবে আরও ১০টি পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দুই ম্যাচে ততটা ভালো খেলতে পারেনি। তবে তারা বিপজ্জনক দল ও যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

তাই খুব অল্প পরিবর্তন নিয়েই মাঠে নামছেন বলে জানান অধিনায়ক, আমরা খুব অল্প কিছু পরিবর্তন করতে পারি। তবে যারা আসবে, আমি নিশ্চিত তারাও ম্যাচ জেতাতে পারে, অতীতে যখন সুযোগ পেয়েছে, ভালো করেছে। আমাদের ড্রেসিং রুমে তাড়না প্রচণ্ড, সবাই মাঠে নেমে ভালো করতে চায়। আশা করি, এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে। কালকের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। যেটা বলেছি, সিরিজ জিতেছি, কিন্তু আরও ১০ পয়েন্ট পাওয়ার আছে।

শেষ ম্যাচে টাইগারদের আরও উন্নতি করার তাগিদ দিয়েছেন তামিম, উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে। পরিপূর্ণ ম্যাচ খুব কম সময়ই খেলতে পারা যায়। আমরা তিন বিভাগেই আরও উন্নতি করতে পারি। বোলিং আরেকটু ভালো করতে পারি, ফিল্ডিং ভালো করতে পারি। ব্যাটিংয়ে অনেকেই ভালো শুরু পেয়েও চালিয়ে যেতে পারছে না ও কাজ শেষ করে ফিরতে পারছে না। এই জায়গাগুলোয় নিশ্চিতভাবেই আমাদের উন্নতি করতে হবে।

ওয়ানডে এখন এমন একটি সংস্করণ, এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এগিয়ে আসছে, কোয়ালিফাই করতে হলে উন্নতি করে যেতেই হবে। সামনে দেশের বাইরেও খেলতে হবে আমাদের। ভিন্ন কন্ডিশনে কাজটা সব সময় কঠিন। এটা তাই নিশ্চিত করতে হবে, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামলে সবকিছু যেন ঠিকঠাক করতে পারি।

অন্যদিকে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। ক্যারিবীয় কোচ সিমন্সের চোখ মূল্যবান ১০ পয়েন্টে। বিশ্বকাপ সুপার লিগ চালু হওয়ার পর ওয়ানডের প্রত্যেক জয়ে থাকে ১০ পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলতি সিরিজ থেকে কোনো পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি। তাই শেষ ম্যাচ জিতে অন্তত ১০ পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শেষ করতে চায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হয়নি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তারা ভাগ্য বদলাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।

ক্যারিবিয়ান কোচ সিমন্স অবশ্য ইতিবাচক। শেষটা জয়ে রাঙানোর আশা তার, ‘আমরা এখানে (বাংলাদেশে) এসেছিলাম ৩০ পয়েন্টের লক্ষ্যে, কিন্তু এখন সুযোগ আছে ১০ পয়েন্টের। আমাদের সবার মধ্যেই উন্নতির ছাপ আছে। (প্রথম ওয়ানডের) ১২২ থেকে (দ্বিতীয় ওয়ানডেতে) ১৪৮ রান করেছি। তবে আমাদের ২৩০ থেকে ২৫০ রান করতে হবে, যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বোলারদের অবশ্যই লড়াইয়ের সুযোগ দিতে হবে। তবে হ্যাঁ, আমরা ১০ পয়েন্ট অবশ্যই চাই।’

ওয়ানডে সিরিজে অভিষেক হয়েছে সাতজনের। ২০২৩ বিশ্বকাপ লক্ষ্য রেখেই এতজনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা বলে মন্তব্য সিমন্সের, ‘এই পর্যায়ে এসে কেমন করতে পারে, সেটা দেখানোর বড় সুযোগ ছেলেদের সামনে। ২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের রাখার সুযোগও থাকছে তাদের।’

টেস্ট সিরিজেও ‘অভিষেক হতে যাচ্ছে বেশ কয়েকজনের’, এই তথ্য দিয়ে সিমন্স বললেন, ‘ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা পাঁচজন ছাড়া বাকি ১০ ক্রিকেটাররাও কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এই ধরনের কন্ডিশনে এবং আমরা যে পরিবেশে এখন আছি, সেখান থেকে ক্রিকেট খেলতে গেলে অনেক শক্তিশালী হতে হবে। দেখা যাক, সেই শক্তি নিয়ে সামনে থেকে কে নেতৃত্ব দিতে পারে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads