• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলের জন্য পরামর্শ সাকিবের

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলের জন্য পরামর্শ সাকিবের

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ এপ্রিল ২০২১

ক্রিকেট একার খেলা নয়, সবার মিলিত প্রচেষ্টাতেই ভালো ফল আশা করা যায়। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো বিগ আসরে তো সেটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান যে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে বিশ্বের কোনো অলরাউন্ডার তা করতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশ দল তো বিশ্বকাপে ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। কারণ একটাই, সাকিব ছাড়া আর কোনো খেলোয়াড় সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারেননি। তাই সাকিব সতীর্থদের ভালো করার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। 

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসেই বিশ্বকাপের এক আসরে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্সের নজির দেখিয়েছেন সাকিব। ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে দুই সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের পাশাপাশি একটি ফাইফারসহ নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আগে দেখা যায়নি কখনো। এমন উদ্ভাসিত পারফরম্যান্সের পেছনে বড় কারণ হিসেবে আইপিএল খেলতে গিয়ে নেওয়া প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেছিলেন সাকিব। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও, নিজের তাগিদে আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সাকিব। যার ফল মিলেছে বিশ্বকাপে।

এবার সামনে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে আবারো আইপিএল বেছে নিয়েছেন সাকিব। আর তাই আইপিএলে অংশ নিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলার সময়ের মধ্যেও ছুটি নিয়েছেন সাকিব। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে তুমুল।

তবে আইপিএল থেকে নেওয়া প্রস্তুতি যে কাজে লাগে, এর প্রমাণ আগেই দিয়েছেন সাকিব। আশা করছেন, আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা যাবে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে আরো একটি। সাকিব নিজে না হয় আবারো ভালো করবেন বিশ্বকাপে। কিন্তু দলের অন্যরা যদি ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তাহলে তো সবমিলিয়ে ফায়দা খুব একটা হবে না।

এ বিষয়ের সমাধানও যেন আছে সাকিবের কাছে। বিশ্বকাপে দলের অন্যদের ভালো করার জন্য একটি পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, ‘(দলের বাকিদের প্রস্তুতির জন্য) বেশি বেশি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা দরকার। এবার তো শুনেছি প্রিমিয়ার লিগ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এটা ভালো সিদ্ধান্ত।’

সাকিব আরো যোগ করেন, ‘শ্রীলঙ্কা সফরের পর জাতীয় লিগও টি-টোয়েন্টি করে দিতে পারে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের ক্রিকেটাররা যদি ঘরোয়া দু-তিনটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে পারে এবং সেখান থেকে দুজন খেলোয়াড়ও যদি বের হয়, সেটাও ভালো। এরকম কয়েকটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনা করা যেতে পারে।’ এ সময় সাকিব আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। সেটি হলো ওয়ানডে সুপার লিগ কিংবা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে এ দুই ফরম্যাটে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই। তাই কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে এখন থেকেই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পক্ষে তিনি।

সাকিবের ভাষ্য, ‘টি-টোয়েন্টি এমন একটা জায়গা, যেখানে আমাদের পয়েন্ট নিয়ে চিন্তা নেই। বিশ্বকাপ আছে, ওটাই একমাত্র ফোকাস। সেটার জন্য নতুন অনেক কিছুই চেষ্টা করার সুযোগ আছে এবং তার জন্য এটাই উপযুক্ত সময়। সামনে অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব আমরা। একটা ভালো দল দাঁড় করানোর জন্য বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন থেকেই শুরু করা উচিত।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads