• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া

অভিনেতা শাকিব খান ও বুবলি

সংরক্ষিত ছবি

ঢালিউড

ফিল্ম রিভিউ

চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া

পুরনো বোতলে নতুন মদ

  • প্রকাশিত ২১ জুন ২০১৮

আমিনুল ইসলাম শাওন

ঈদে ১৩৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে উত্তম আকাশ পরিচালিত ছবিটি। শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত দ্বিতীয় ছবি এটি। শাকিব খান, বুবলি, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াৎ, ওমর সানী, মৌসুমির মতো তারকা অভিনেতারা আছেন ছবিটিতে।

গল্পে দেখা যায়, আব্বাস ও আজাদ নামে দুই বন্ধুর অবৈধ ব্যবসার সাফল্য এবং নিজেদের লালস্য দ্বারা কীভাবে সন্তানদের অপকর্মে ব্যবহার করা। দুই পরিবারের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে পরিচালক বোঝাতে চেয়েছেন নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের মানুষের অভ্যন্তরীণ হানাহানি।

পুরো ছবির মূল বৈশিষ্ট্য কী তা একেবারেই বোধগম্য ছিল না। পুরনো বোতলে নতুন মদের সঙ্গে কিছু আলোকসজ্জা করেছেন মাত্র। দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব, প্রেম-ভালোবাসা, অর্থ-সম্পদ এসব দিয়েই দর্শক হাসানোর এক রকম অপচেষ্টা করেছেন পরিচালক। ছবির ধরন বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পারিবারিক দ্বন্দ্বকে গল্পে রূপ দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু চিত্রনাট্যে ছিল না নতুন কোনো মুন্সিয়ানা। একই গল্পে এর আগেও ছবি নির্মিত হয়েছে। ‘ঢাকাইয়া পোলা বরিশাইল্লা মাইয়া’ এবং ‘লাভ ম্যারেজ’ ছবির গল্পের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে এ ছবিটিতে।

ছবিতে কোনো প্লট রাখেননি পরিচালক। শাকিব খান-বুবলী তাদের গতানুগতিক অভিনয়টুকু করেছেন। তাদের ছাড়িয়ে গেছেন ডি জে সোহেলের মতো আনকে অভিনেতা। সব থেকে বেশি বিরক্ত বিষয় ছিল ভাষা প্রয়োগে সামঞ্জস্য না থাকা। ছবির গল্প নিয়ে বলার কিছুই নেই। প্লট ছাড়া যেমন গল্প হয় না, তেমনি ক্লাইম্যাক্স ছাড়া গল্পের স্বাদ তৈরি হয় না। তাই গল্প নিয়ে আলোচনা করা নির্বিকার।

পুরো ছবিতে গানগুলো ছিল ইতিবাচক। থাইল্যান্ডে চিত্রায়িত গানগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। গানের চিত্রায়ণে ছবির চিত্রগ্রাহক রাজু রাজ প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গীতায়োজন করা গানগুলো দর্শক উপভোগ করেছেন। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, গান দিয়ে ছবির গল্প ঢাকার চেষ্টা করেছেন পরিচালক উত্তম আকাশ। পরিশেষে বলা যায়, ঈদ মৌসুমের ছবি না হলে সাধারণ দর্শকদের মুখেই উত্তম-মধ্যম শুনতে হতো ছবির কলাকুশলীদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads