• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
তুমি আছো হৃদয়ে

প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ

সংগৃহীত ছবি

ঢালিউড

তুমি আছো হৃদয়ে

  • আল কাছির
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আকাশে ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে খুব অল্প সময়ে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তিনি। এক সময়ের জনপ্রিয় এ চিত্রনায়ক ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে রহস্যময় মৃত্যুতে না-ফেরার দেশে চলে যান। স্মৃতির পাতায় সোনালি অক্ষরে লেখা হয় তার নাম। চলে যাওয়ার ২২ বছর পরও শ্রদ্ধাভরে তার নামটি আজো স্মরণ করেন অসংখ্য ভক্ত ও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরা।

পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন হলেও সালমান শাহ নামেই তিনি ব্যাপক পরিচিত। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর দুই ছেলের মধ্যে সালমান শাহ বড়। তার ছোট ভাইয়ের নাম শাহরান চৌধুরী ইভান। সালমানের শিক্ষাজীবন শুরু হয় খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে। ঢাকার ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৮৭ সালে। পরে ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ থেকে বিকম পাস করেন। ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট সামিরা হকের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন সালমান শাহ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালমান শাহর অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৮৫ সালের দিকে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটকে অভিনয় করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে একাধিক একক নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে বড়পর্দায় আগমন ঘটে সালমান শাহর। মৌসুমীর বিপরীতে অভিনয় করেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে। সে সময়ই তার নাম পরিবর্তন করে সালমান শাহ রাখা হয়। ক্যারিয়ারে প্রথম ছবি মৌসুমীর সঙ্গে হলেও সালমান-শাবনূর জুটি সে সময় তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ফলে একসঙ্গে প্রচুর কাজ করতে থাকেন তারা। সালমানের মুক্তিপ্রাপ্ত ২৭টি ছবির ১৪টিতেই তার নায়িকা ছিলেন শাবনূর।

ঢাকাই ছবির ইতিহাসে সালমানই একমাত্র নায়ক যিনি সর্বমহলে তার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছিলেন। পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তরুণদের স্টাইল আইকন হিসেবে। বৈচিত্র্যময় চরিত্রে ভিন্ন স্টাইল আর ফ্যাশনে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। অসংখ্য ভক্তের প্রিয় নায়ক সালমান শাহ আজ নেই। আছে তার কাজ। তার নায়িকা, সহকর্মী এবং প্রিয় ইন্ডাস্ট্রি। আজকের এই দিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবেন অসংখ্য মানুষ। এদিকে সালমান শাহকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা আজ সময়ের দাবি। সালমান শাহ ভক্তদের দীর্ঘদিনের চাওয়া তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখা হোক। যেমনটি করা হয়েছে জহির রায়হান, মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও চিত্রনায়ক মান্নাকে। আগামীতেও দিনটি এলে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হবে সালমান শাহকে। কারণ, প্রিয় নায়ক আজো আছেন অসংখ্য ভক্তের হৃদয়ে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads