• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ঢালিউড

মৃত্যুর আগপর্যন্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকতে চাই

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৯

আলোকিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোজিনা। যদিও অভিনেত্রীর চেয়ে নিজের নামের সঙ্গে নায়িকা শব্দটি ব্যবহার করলেই বেশি খুশি হন তিনি। কারণ এখন পর্যন্ত নায়িকা কিংবা কেন্দ্রীয় চরিত্র ছাড়া অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাকে। মা কিংবা ভাবির চরিত্রে অভিনয় করতে ঘোর আপত্তি তার। দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী বর্তমানে অভিনয় কম করলেও চলচ্চিত্রের যে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাকে। মনের টানে আর ভালোবাসার কারণেই চলচ্চিত্রের সঙ্গে গভীর একটা সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা তার। কারণ চলচ্চিত্রই তাকে রোজিনা বানিয়েছে।

চলচ্চিত্রে চার দশকেরও বেশি সময় পার করে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এই দীর্ঘ পরিক্রমায় অনেক উত্থান-পতন, পরিবর্তন দেখেছেন রোজিনা। বলেন, ‘আমি আপাদমস্তক একজন চলচ্চিত্রের মানুষ, মরার আগপর্যন্ত চলচ্চিত্রকে ভালোবেসেই থাকতে চাই। অভিনয়ে এই দীর্ঘ সময়ে অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার, সম্মান ও সুনাম অর্জন করেছি। চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। শুটিংয়ে আমরা একই পরিবারের মতো থেকেছি। আমাদের মধ্যে আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না।’

নেপাল, পাকিস্তান, ভারতসহ প্রায় ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন রোজিনা। এর মধ্যে নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, ওয়াসিম, ফারুক, জসিম, মাহমুদ কলি, ইলিয়াস কাঞ্চান, সাত্তারসহ অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে বেশি কাজ করেছেন ফারুক ও ওয়াসিমের সঙ্গে।

সর্বশেষ ‘রাক্ষুসী’র পর প্রায় ২০ বছর পার হলেও নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি রোজিনা। এ বিষয়ে রোজিনা বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের লোক। মৃত্যুর আগপর্যন্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকতে চাই। অভিনয় না করলেও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে থাকার চেষ্টা করি। দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও অভিনয় ছাড়িনি। ভালো চিত্রনাট্য হলে, আমাকে নিয়ে গল্প হলে সেই চলচ্চিত্রে অবশ্যই অভিনয় করব।

আগের ও বর্তমান চলচ্চিত্রের মধ্যে অনেকটাই ব্যবধান দেখতে পান রোজিনা। তিনি মনে করেন, বর্তমানের ছবিগুলোতে বিদেশি সংস্কৃতির ছোঁয়া বেশি। আগের ছবিগুলোতে তা ছিল না। আগের ছবিগুলো ছিল সবার জন্য। মৌলিক গল্পের। পরিবার ও সমাজের কথা বলত। যদিও সময়ের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আধুনিকতার নামে নিজের সংস্কৃতিকে ছোট করা।’ রোজিনা মনে করেন, প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে যদি ভালো গল্পের চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় তাহলে অবশ্যই সে ছবি সাফল্য পাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads