• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

ঢালিউড

গান আর ক্লাইমেক্সে ঠাসা ‘ডনগিরি’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ অক্টোবর ২০১৯

পাসওয়ার্ড-পরবর্তী সিনেমা হলগুলো একধরনের দর্শক খড়ায় ভুগছে। মাঝে আমদানির ছবি ‘বচ্চন’ এলেও দর্শকের মন ভরাতে ব্যর্থ হয়। দর্শক চাইছিল ঘরের ছবি মানে দেশীয় ছবি। কিছুটা দেরিতে হলেও ঘরের ছবি পেল দর্শক। গত ১৮ অক্টোবর বিগ কাস্টিং ধামাকা ‘ডনগিরি’ মুক্তি পেয়েছে। এটি রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী মধুমিতাসহ সারা দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনেই ধামাকাপ্রিয় দর্শক ছবিটিকে লুফে নেয়। আর ছবির মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে বহু দিন পরে বিগ কাস্টিং কোনো ছবির দেখা পেল দর্শক। ছবিটি টিনএজদের জন্য বলা চলে। সুন্দর শব্দমালা দিয়ে বেশকিছু গান আর সুরে দর্শকদের মোহিত করার যে চেষ্টা পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল করেছেন তা অনেকাংশেই কাজে লেগেছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি চরিত্রে সংলাপনির্ভর কমেডি হাসাতে বাধ্য করেছে। ক্লাইমেক্স দৃশ্যে হর্ষোধ্বনি বলে দেয় এটির প্রতীক্ষায় ছিল দর্শক।

প্রয়াত যোশেফ শতাব্দীর কাহিনী ও চিত্রনাট্যে ছবিটি পুরোপুরি অ্যাকশন আর ট্রায়াঙ্গুলার প্রেম ঘরানার। এতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রাজত্ব করা এক ডনের জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনী। ডন চরিত্রে এখানে আলীরাজকে দেখা গেছে এককভাবেই সংলাপের মাধ্যমে চরিত্র মেলে ধরতে। সেখানে তার সাপোর্টিং ছিল দুর্বল। তবে মিলন ছিল শতভাগ ফিট। ওদিকে বাপ্পীকে হুট করেই আনা যার চরিত্রের পরিচয় নিয়ে দর্শক বেশ বিভ্রান্তিতে একইভাবে শক্তিমান অভিনেতা সাদেক বাচ্চু, অরুণা বিশ্বাস বা অমিত হাসানোর মতো চরিত্রগুলোর অভিনয়ের ব্যাপ্তি এতটাই কম যে বিগ কাস্টিং ব্যাপারটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রইল। যদিও গান আর আবহ সংগীতের চমৎকারিত্বের কারণে দর্শক আচ্ছন্ন থাকায় বিভ্রান্তি নিয়ে ভাবতে খুব একটা সময় পাবে না দর্শক তবুও এদিকটা নিয়ে নির্মাতার ভাবা উচিত ছিল। ছবিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সবেচেয়ে প্রবীণ অভিনেতা হাসান ইমামকে দেখা গেছে নবাগতা চিত্রনায়িকা এমিয়া এমি যিনি নাম ভূমিকায় এখানে অভিনয় করেছেন তার নানা চরিত্রে। অপরদিকে নানী চরিত্রে ছিলেন লায়লা হাসান।

অন্যদের মধ্যে চরিত্রবিন্যাসকে সাপোর্টিং দিয়ে সমৃদ্ধ করতে দেখা গেছে ডি জে সোহেল, এস আই ফারুক, সীমান্ত, রেজাউল করিম, জিয়া তালুকদার, আর কে রতনকে। পুরো ছবিতে তাদের বেশ কমেডিসুলভ উপস্থিতি দর্শক মুচকি হেসেছে। পরিচালক বলেছিলেন একজোড়া নতুন মুখ যথাক্রমে ঐশিক শামীম ও রাইসিয়াকে দেখা যাবে। তাদের স্ক্রিনিং আরো সমৃদ্ধি আশা করা অহেতুক নিশ্চয়ই নয়। তাদের দুর্বলভাবে উপস্থাপন করে নতুন মুখের তকমায় কিছুটা হলেও দাগ লেগেছে। অ্যাকশননির্ভর গল্পে অ্যাকশনের বৈচিত্র্য বলতে যা বোঝায় সেটা প্রাণ পায়নি। সবাই জানি, মেকাপ হচ্ছে দৃশ্যের সঙ্গে মিলিয়ে চরিত্রকে প্রাণবন্ত করে তোলার পূর্বশর্ত। শর্তটা বোধ করি, নির্মাতা আরো ভালো করে জেনে নেবেন ভবিষ্যতে। অথচ সুন্দর গল্প এতে কোনো সন্দেহ নেই। শেষটায় বোঝা গেল, আজকাল যা হয় অসহযোগিতা নাম শব্দটিতে নির্মাতা অসহায়বোধ করেছেন। অর্থাৎ শিল্পীদের পেশাদারিত্বের অভাবে একজন নির্মাতার সদিচ্ছাকে হত্যা করা। এ ছবিতে এমন কিছু হয়েছে কি না, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহের পাঁচ দিন।

এ ছবির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর জুটি বাঁধতে দেখা গেছে আলীরাজ ও অরুণা বিশ্বাসকে। চিত্রনায়িকার কথা না বললেই নয় লুকেটিভ ফিগার আর চোখের ব্যবহারে দর্শক অনেকেই ফিদা। বাপ্পী দর্শকদের বেশ মজা দিয়েছেন।

ছবির সংগীত লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কবির বকুলের মতো গুণীজনরা আর এর সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন- সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, কনকচাপা, পড়শী, লেমিস ও ইমরান। নৃত্যে মাসুম বাবুল, সাইফ খান কালু ও হাবিব। অ্যাকশনে ডি এইচ চুন্নু।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads