• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ঢালিউড

এ মাসে মুক্তি পাচ্ছে ‘ন ডরাই’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ নভেম্বর ২০১৯

সমুদ্রের ঢেউ তরঙ্গে সার্ফ বোর্ডে ভেসে বেড়ানো এক বাঙালি নারীর জীবনের সত্য গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’। সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৯ নভেম্বর। দেশে সার্ফিং নিয়ে এই প্রথম কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ হলো।

তানিম রহমান অংশু পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন সুনেরাহ ও শরীফুল রাজ। মডেল হিসেবে দুজনেই পরিচিত হলেও এবার তারা জুটি বেঁধে বড়পর্দায় আসছেন এ সিনেমার মাধ্যমে। সত্য ঘটনা অবলম্বন করে ‘ন ডরাই’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন বলিউড ছবি ‘পিংক’-এর চিত্রনাট্যকার কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমাতে চট্টগ্রামের ভাষা শুনতে পাবেন শ্রোতা-দর্শকরা। তবে তা সবাই যেন বুঝতে পারে সেভাবেই ব্যবহার করা হয়েছে।

তানিম রহমান অংশু জানান, একজন নারী সার্ফারের জীবন থেকে উৎসাহিত তৈরি হয়েছে ছবির গল্প। নারীর এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও থাকছে সিনেমায়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ‘ন ডরাই’ সেন্সরে জমা দেওয়া হবে। দেশে মুক্তির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি দেওয়া হবে ‘ন ডরাই’।

অফিশিয়াল না হলেও তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ‘ডেয়ার টু সার্ফ’ নামের চলচ্চিত্রটির প্রথম দর্শন! পোস্টারে ছিল নারী মুক্তির ইঙ্গিত। আর এবার অফিশিয়াল পোস্টার, ছবির বাংলা নাম এবং টিজার প্রকাশ করে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয় সার্ফিং নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ছবিটি! মূলত সার্ফিং নিয়ে এক নারীর প্যাশন-ই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পোস্টারে, সেই সঙ্গে আছে বাংলার নারী মুক্তির ইঙ্গিতও!

এ ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় এসেছেন সুনেরাহ। ছোটবেলা থেকে বড়পর্দায় কাজ করার স্বপ্ন বেঁধেছিলেন সুনেরাহ। অবশেষে তার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে। সাবলীল ভঙ্গিতে তিনি বললেন, ‘ছোটবেলায় টিভিতে সিনেমা দেখে আম্মুকে বলতাম, আমি নায়িকা হব, মডেলিং করব। তখন আম্মু আমাকে উৎসাহ দিতেন, অনেক সাপোর্ট করতেন। কখনো কিছু করতে চাইলে পরিবার থেকে বাধা পাইনি। সে জন্য নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়।’ শুরুটা নাচ শেখার মধ্য দিয়ে। মাত্র আড়াই বছর বয়সে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে (বাফা) নাচ শেখা শুরু করেন সুনেরাহ। স্কুলে থাকতে থিয়েটারেও অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি খেলাধুলার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তখন বাস্কেট বল ও ভলিবল ছিল তার পছন্দের খেলা।

বিটিভির তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী ছিলেন সুনেরাহ। সেখান থেকে এক পরিচিতজনের মাধ্যমে র‍্যাম্পে পথচলা। তখন তিনি নবম শ্রেণিতে পড়তেন। র‍্যাম্পে তার নজরকাড়া পারফরম্যান্সের জন্য দেশের একটি বড় ফ্যাশন হাউজের মডেল হওয়ার জন্য ডাক পান তিনি। তবে বয়স কম হওয়ায় তখন কাজটি করতে পারেননি। তার ভাষ্যে, ‘ফ্যাশন হাউজটি আমাকে ছোট বলে অপেক্ষা করতে বলে। তবে এ কারণে আমি একটুও হতাশ হইনি। কারণ এসব বিষয় আমাকে কখনো নিরাশ করে না। আমি যেমন, আমি তেমনই। এবার হয়নি পরের বার হবে। আর আমার জীবনের সবকিছু এভাবেই হয়েছে, সারপ্রাইজ। হঠাৎ হঠাৎ। মজার বিষয় হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে সে প্রতিষ্ঠানেরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আমি কাজ করেছি।’

কাজের ব্যাপারে সুনেরাহ কঠোর পরিশ্রমী। তাই সংগীতশিল্পী প্রীতমের ‘রাজকুমার’ মিউজিক ভিডিওর সময়ই তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন পরিচালক অংশু। ‘সিনেমার স্ক্রিপ্ট শুনেই আমি কাজ করতে রাজি হয়ে যাই। কারণ স্ক্রিপ্টটি এত সুন্দর, এতে কাজ না করার কোনো কারণই ছিল না। তা ছাড়া সিনেমাটির গল্প সার্ফিং নিয়ে। আর সমুদ্র আমার অনেক পছন্দ। সমুদ্রের কাছে গেলে আমি উদাসীন হয়ে যাই। শুটিংয়ের সময়গুলো অসাধারণ কেটেছে। এখন অবশ্য অভিনয়টা নেশায় পরিণত হয়েছে। শুটিং শেষে ঢাকায় এসে বসে থাকলে বিষণ্নতায় ভুগি। দিনরাত না ঘুমিয়ে শুধু অভিনয় করতে ইচ্ছে করে’, বলেন নবাগত এই নায়িকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads