• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
অপেক্ষা আরো ১০৫ বছরের

বাঁ থেকে ক্রমানুসারে চন্দ্রগ্রহণের ছবি

ছবি : সংগৃহীত

বৈচিত্র

অপেক্ষা আরো ১০৫ বছরের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০১৮

শুক্রবার রাতে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা উপভোগ করেছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছেন ১০৩ মিনিটের শতাব্দির দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ ও ব্লাড মুন।

বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, পূর্ব ইউরোপ, মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মেঘমুক্ত এলাকাগুলো থেকে তুলনামূলকভাবে স্পষ্ট দেখা গেছে। তবে এমন আরেকটি ঘটনার সাক্ষী হতে বিশ্ববাসীকে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১০৫ বছর।

বিবিসি বলছে, এর আগে ২০০০ সালেও দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। ২০২৮ সালেও মিলবে একটা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের দেখা। তবে সেটি এবারের মতো এতো দীর্ঘস্থায়ী হবে না। চাঁদে এবারের চেয়ে দীর্ঘক্ষণ গ্রহণ দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২১২৩ সাল পর্যন্ত।

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিপদার্থবিদ অধ্যাপক টিমো ব্রায়েন বলেছেন, পূর্ণগ্রাস গ্রহণ যতক্ষণ স্থায়ী হতে পারে এবারেরটি আসলে সেরকমই। তবে মঙ্গলের কাছাকাছি অবস্থানে আসার সময়ই কেবল এটি ঘটল তা নয়।

তিনি জানান, ওই দিন প্রায় ১৫ বছর পর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আসে মঙ্গল গ্রহও। মঙ্গলের পাশাপাশি অনেক এলাকা থেকে শুক্র, বৃহস্পতি ও শনিকেও ভালোভাবে দেখার সুযোগ মিলেছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, আকাশ মেঘলা থাকার কারণে দেশ থেকে সেভাবে দেখা মেলেনি। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে উপচ্ছায়ায় প্রবেশ করে চাঁদ। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হয় রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। আর উপচ্ছায়া থেকে চাঁদ বেরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে গ্রহণ শেষ হয় ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিম ইউরোপের অনেক এলাকায় গ্রহণ শুরুর সময় থেকেই পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটি গাঢ় লাল ছায়ায় ঢাকা পড়তে থাকে। আর কোনো কোনো এলাকা থেকে একে দেখা যায় রক্তাভ বাদামী বর্ণের।

বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা অনুসারে, সূর্যের আলো যখনই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন পৃথিবীর আকাশের নীল রঙের সঙ্গে মিশে সাদা আলো। আর তখনই আলোক বিচ্ছুরণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় লাল আলোর।

প্রসঙ্গত, সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একই সরলরেখায় চলে এলে গ্রহণ হয়। এ সময় পৃথিবী যদি চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে থাকে, তখন চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেলে হয় চন্দ্রগ্রহণ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads