• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
একই স্থানে কবর শ্মশান সমাধি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বৈচিত্র

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত

একই স্থানে কবর শ্মশান সমাধি

  • কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ জুলাই ২০১৯

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস বাংলাদেশে অনেক সমৃদ্ধ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শনের এমনই একটি স্থান হচ্ছে মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাত্রখোলা চা বাগান। কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নের এ চা বাগানে একই স্থানে রয়েছে হিন্দুদের শ্মশান, মুসলমানদের কবর ও খ্রিস্টানদের সমাধি। এ যেন ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

এলাকাবাসীরা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে একইস্থানে শ্মশান, কবরস্থান ও সমাধি হলেও তিন ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছেন। এ নিয়ে কখনও কোনো বিরোধ পর্যন্ত হয়নি।
১৮৭৫ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাত্রখোলা চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে ৪.৯৪ একর (১৫ বিঘা) জমিতে প্রধান তিনটি ধর্মের অনুসারীদের সমাধির জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়। পাত্রখোলা চা বাগানে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার, হিন্দু প্রায় ৮ হাজার ও খ্রিস্টানদের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তবে ধর্ম নিয়ে এখানে কোনো হানাহানি ও মতবিরোধ নেই । পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্মীয় আচার পালন করে আসছেন এখানকার ধর্মপ্রাণ মানুষ। সম্প্রীতির এই স্থানটি দেখতে বিভিন্ন অঞ্চলের দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এখানে।

পাত্রখোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আজিজ, চা বাগান সার্বজনীন মন্দিরের পুরোহিত রাজেশ প্রসাদ শর্মা, ও পাত্রখোলা চা বাগান গির্জার পরিচালক ধর্মযাজক যোসেফ বিশ্বাস জানান, ‘এখানে প্রথমে যখন চা বাগান করা হয় সে সময় তিন ধর্মের মুরব্বিরা সবার জন্য একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চেয়েছেন। পরের প্রজন্মের কাছে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ তারা এ সমাধি করে গেছেন। এখানে তিন ধর্মের অনুসারীদেরই সমান সুযোগ দিয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিদের সৎকার অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

পাত্রখোলা চা বাগানের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষের মাঝে সৌহার্দ্যরে দৃষ্টান্ত হিসেবেই সমাধিস্থলটি গড়ে উঠেছে। এই চা বাগানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে ।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads