• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

নির্বাচন

প্রার্থীর ব্যয়ে চোখ রাখতে ইসির নজরদারি কমিটি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ এপ্রিল ২০১৮

আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের বিষয়ে নজরদারি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরা বিধি মেনে ব্যয় করছেন কিনা- সে বিষয়ে নজরদারি করে এই কমিটি দুই দিন পর পর ইসিতে প্রতিবেদন পাঠাবে বলে জানা গেছে।

এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন-রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি ও বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি। একজন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা থাকবেন এই কমিটির সদস্য সচিব।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার বর্তমান উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, “ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীরা সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বিবরণীও জমা দিয়েছেন। যথাযথভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা এবং সীমা পার করছে কিনা তা দেখতেই কমিটি করা হয়েছে।”

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হলে প্রচার থেকে ভোট পর্যন্ত ব্যয় তদারকি করা হবে এ কমিটির মাধ্যমে। কমিটি তাদের প্রতিবেদনের অনুলিপি সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠাবে।

ভোটার অনুপাতে সিটি করপোরেশনে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যক্তিগত খরচ, নির্বাচনী ব্যয় এবং দলীয় প্রার্থীর জন্যে দলের ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে নির্বাচনী বিধিমালায়।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা ৩০ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন। আর ব্যক্তিগত খরচ দেড় লাখ টাকা। ভোটের প্রচারের সময় প্রার্থীর নিজের খাবার বা জ্বালানি খরচের বিষয়গুলো ব্যক্তিগত খরচ হিসেবে দেখানো যাবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা ১৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন। আর ব্যক্তিগত খরচ ৭৫ হাজার টাকা। দুই সিটিতে দলীয় প্রার্থীর জন্যে দল ব্যয় করতে পারবে ৫ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, কমিশন ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে নিশ্চুপ থাকে, সঠিকভাবে তা তদারকি করেন না। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা যেভাবে প্রচার চালান, বেঁধে দেওয়া ব্যয়সীমায় তা সম্ভব কি না সে প্রশ্ন রয়েছে বহুদিন ধরেই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads