• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

নির্বাচনেই হবে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর : ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে নির্বাচন তখনই হবে যখন পরিবেশ থাকবে। আর এ পরিবেশ তখনই হবে যখন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) যুব সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চলমান গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। অবিলম্বে কমপক্ষে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। তারপর নির্বাচনের কথা ভাবুন।’

তিনি বলেন, ’৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যে চেতনা নিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন সেই চেতনা ক্ষমতাসীন সরকার অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অবৈধ, অগণতান্ত্রিক সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে তারা নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বিদায় করার চক্রান্ত করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বন্দুক দিয়ে সবকিছু দমন করতে চাইছে। বিরোধী দলকে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। গত শুক্রবার নড়াইলে জেলা বিএনপির সভাপতির বাসায় নেতাকর্মীরা বৈঠক করার সময় হঠাৎ পুলিশ এসে বিনা কারণে বাসা ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে ৫৮ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কোথাও বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন এমন চলছে। যেদিন থেকে এই সরকার ক্ষমতা দখল করেছে সেদিন থেকে এ অবস্থা চলছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়া নির্জন কারাগারে আছেন। তিনি তো সুখে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি কেন এমন করছেন? গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। এখনো করে যাচ্ছেন। ৭২ বছর বয়সে তাকে নির্মম ও নির্দয় জীবন কাটাতে হচ্ছে।

সরকার উন্নয়নশীল দেশ বলে প্রচার করলেও সিপিডির বক্তব্য অনুযায়ী দেশে মানুষের প্রকৃত কোনো আয় বাড়েনি বলেও দাবি করেন ফখরুল।

সংগঠনের আহ্বায়ক মহসিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।

খালেদার কিছু হলে দায় সরকারের : সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে তার স্বজন, দলের নেতাকর্মীসহ দেশ-জাতি উৎকণ্ঠিত। চিকিৎসকরা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার পছন্দনীয় ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছেন। বিশেষ করে কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা এবং এমআরআই, চোখের পরীক্ষা তার জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। অথচ কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads