• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

গাজীপুর নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সিইসি নূরুল হুদা

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

গাজীপুরে ১৫ মে নির্বাচন সম্ভব নয় : সিইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী ১৫ মে আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। এক্ষেত্রে নির্বাচন স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের রায় যদি নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও যায় তারপরও ভোটের আয়োজন অসম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। 

কে এম নূরুল হুদা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যদি ভোটের জন্য কোনো সময় বেঁধে না দিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তারা ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, ‘এর জন্য পুনঃতফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না, শুধু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করলেই হবে।’  সর্বোচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে তফসিলে নির্ধারিত ১৫ তারিখেই ভোট করতে বললে ইসি তা অনুসরণ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার দুপুরে গাজীপুরে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থগিত হওয়া ভোট নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

১৫ মে ভোটের দিন রেখে ৩১ মার্চ গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। তারপর ভোটের সব প্রস্তুতিও সারা হয়েছিল; প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের সঙ্গে প্রচারও জমে উঠেছিল।

এরমধ্যেই রোববার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন নিয়ে যান ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। শিমুলিয়ার ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজের ওই আবেদনে হাইকোর্ট ৬ মে ঢাকার লাগোয়া এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। আদেশের খবর পেয়ে ইসিও গাজীপুরে ভোটের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘১৫ মে গাজীপুর সিটির ভোট নেয়া সম্ভব নয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আজকেও যদি আদালতের সিদ্ধান্ত হত, তাহলেও নির্ধারিত সময়ে (১৫ মে) নির্বাচন করা সম্ভব হত। আর আদালতের আদেশ যদি আগামীকালও হয়, তাহলেও ভোটের তারিখ পরিবর্তন করতে হবে।’

তবে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপরই পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘দেখি কোর্ট কি রকম নির্দেশ দেয়, কোর্ট যদি বলেন যে ১৫ মে ভোট নিতে হবে, তখন আমাদের যেভাবেই হোক কোর্টের আদেশ পালন করতে হবে। এখন ক্রিটিক্যাল সময় হয়ে গেছে। আদালত সময় বেধে না দিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেয়া হবে।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads