• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয় পার্টির লোগো

সংগ্রহীত ছবি

নির্বাচন

জাপার চ্যালেঞ্জ সম্মানজনক ভোট

  • কামাল মোশারেফ
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০১৮

আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নির্বাচনে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায়ও ব্যস্ত দলটির প্রার্থী ও কর্মীরা। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে তাদের কাছে মুখ্য হয়ে উঠেছে সম্মানজনক ভোট পাওয়ার বিষয়টি! বিগত কেসিসি নির্বাচনে দলটির প্রার্থীদের ভরাডুবিই এ দুশ্চিন্তার কারণ।

এবার কেসিসি নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪। পাঁচটি রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জাতীয় পার্টির (জাপা) এসএম মুশফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক ও সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু। দলীয় প্রার্থী মুশফিকুরের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে জাপা নেতাকর্মীদের মধ্যেই।

১৯৯৩ সালে কেসিসির প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে জাপা প্রার্থী এসএমএ রব ২০ হাজার ভোট পান। ২০১৩ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত শফিকুল ইসলাম মধু জামানত হারিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের আশঙ্কা করছে দলটি। এ ছাড়া বর্তমান মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ইমেজ সঙ্কটে রয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, দলের দুর্গখ্যাত রংপুর সিটি নির্বাচনে লাখো ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন জাপার মেয়র প্রার্থী। গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচনে জাপার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। এতে উজ্জীবিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগামীতে সব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু গাজীপুর ও খুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সঙ্কট রয়েছে। যে কারণে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয় দলটি। এর আগে কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে প্রার্থী দিতে পারেনি জাপা। ২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটি (দক্ষিণ ও উত্তর) এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে জাপার প্রার্থীদের জামানাত বাজেয়াপ্ত হয়। তিন সিটিতে মেয়র পদে সব মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন জাপার প্রার্থীরা।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এক সময় তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ মেয়র পদে মুশফিকুরকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এতে সেই সময় ক্ষুব্ধ হয়ে দুই যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করেন খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক গাউসুল আজমের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

দলটির এক প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, রাজনীতি হচ্ছে কৌশলের খেলা, শেষ মুহূর্তে অনেক নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। খুলনায় জয়ী হতে না পারলেও সম্মানজনক ভোট পাওয়া ও শেষ বৈতরণীতে টিকে থাকাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদের জনপ্রিয়তা এবং গণজোয়ার খুলনার মেয়র প্রার্থী কাজে লাগাতে পারবেন বলে আশা করছি।’ এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী এসএম মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads