• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ভোট ডাকাতির আশঙ্কায় মঞ্জু

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

ভোট ডাকাতির আশঙ্কায় মঞ্জু

  • খুলনা ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০১৮

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।  রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নগরবাসীরও স্বপ্ন ছিল ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার। কিন্তু সরকার একটি ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজন করায় সবকিছুই ভেস্তে যেতে বসেছে।
গণগ্রেফতার ও পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে সকালে নগরীর মিয়াপাড়ায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন মঞ্জু। এ সময় পুলিশের অতিউৎসাহী ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ভোট ডাকাতির নির্বাচন আয়োজনকে ত্বরান্বিত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খুলনা নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, টুটপাড়া, লবণচরা ও বানিয়াখামারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্জু বলেন, চরমপন্থি-সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা এসব এলাকায় মোটরসাইকেল মহড়া দিচ্ছে। আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখা, ভোটের আগের রাতে বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নেতাকর্মীদের ওপর আরো কঠিন আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা মহানায়কের ভূমিকা পালন করছেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, সরকার কেসিসির ভবিষ্যৎ ‘নগর পিতা’ নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে না নিয়ে ভীতিমুক্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে ‘নগর পিতা’ নির্বাচিত করার পরিবেশ তৈরিতে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু জানান, তিনি সাত দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। শনিবার রাতেও তার হাজার হাজার কর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। নতুন করে আরো ১১ জনসহ দু’শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

‘ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন মহিলা পুলিশ বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে পরিবারের নারী সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।’ যোগ করেন মঞ্জু। তিনি হুশিয়ারি দেন- এজন্য সরকার, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সরকার বিএনপিকে বাইরে রেখে একদলীয় নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে অভিযোগ করে ধানের শীষ প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘দেশপ্রেমিক’ পুলিশ এ অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে।

কেসিসির শতভাগ ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে এখনোই সব ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করুন। একই সঙ্গে তিনি প্রতিটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অবস্থান প্রত্যাশা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বিজেপির মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেপি (জাফর) মহানগর সভাপতি মোস্তফা কামাল, জামায়াতের মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলম, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা নাসির উদ্দিন, হাফেজ ওয়াহিদুজ্জামান, মুসলিম লীগের অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির নগর সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads