• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সম্পদে এগিয়ে সরোয়ার বার্ষিক আয়ে তাপস

সম্পদে এগিয়ে সরোয়ার বার্ষিক আয়ে তাপস

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

বরিশাল সিটি নির্বাচন

সম্পদে এগিয়ে সরোয়ার বার্ষিক আয়ে তাপস

  • কামাল মাছুদুর রহমান, বরিশাল
  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০১৮

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন তাপস বার্ষিক আয়ের দিক দিয়ে সবার উপরে, যা ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৫ টাকা। তবে সম্পদের দিক দিয়ে সবার উপরে আছেন বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরোয়ার। তার বার্ষিক আয় ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৮ টাকা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকা। বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমানের কাছে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

চতুর্থবারের বিসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত রোববার বাছাইকালে দুই মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাত প্রার্থী।

হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরোয়ারের বার্ষিক আয় ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা; বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া থেকে আয় ১২ লাখ ৩ হাজার ৬০০ টাকা; ব্যবসা থেকে আয় ১০ লাখ এবং চাকরি-সম্মানী ভাতা ২৪ লাখ টাকা। তার নগদ অর্থ রয়েছে ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির শেয়ার ৮৫ লাখ এবং ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে তার ১৬ লাখ টাকা মূল্যের উপরে ৪.৬৩ একর কৃষিজমি রয়েছে। তিনটি ফ্ল্যাট ছাড়াও একটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে তিনটি। এর মধ্যে দুটি টয়েটো ও একটি জিপ। সোনা রয়েছে ৫০ ভরি। এছাড়া তার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ বোর রিভলবার একটি, ৪৫ হাজার টাকা দামের ৭ এমএম রাইফেল একটি ও ১৫ হাজার টাকা দামের ২২ বোরের রাইফেল রয়েছে একটি। নিজের নামে হওয়া মামলা সম্পর্কে সরোয়ার জানান, তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে বিচারাধীন। ৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে সরোয়ার হলফনামায় এলএলবি উল্লেখ করেছেন। বিএনপি প্রার্থী সরোয়ার চারবার সংসদ সদস্য ছাড়াও বরিশাল সিটি মেয়র ছিলেন একবার (২০০৩-০৭ পর্যন্ত)। সর্বশেষে তিনি ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়া অস্থাবর সম্পদে নগদ অর্থের পরিমাণ ৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। তার ঢাকার পূর্বাচলে প্লট ও নিকেতনে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া তার নামে একটি রিকন্ডিশনড মাইক্রোবাস থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। অর্থের উৎস হিসেবে ব্যবসা, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া রয়েছে। এর মধ্যে বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ২ লাখ ১৬ হাজার, ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৯৫ হাজার, চাকরি বেতনাদি থেকে অর্থের উৎস্য দেখানো হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পেশা ব্যবসা। শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত।

হলফনামা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন তাপসের বার্ষিক আয় ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৫ টাকা, নগদ অর্থ ৯৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৬ টাকা। সম্পদের মধ্যে ৬০ ভরি সোনা, কৃষিজমির পাশাপাশি যৌথ মালিকানার পাঁচতলা পাকা বাড়ি দেখানো হয়েছে। নিজের নামে একটি গাড়িও আছে তার। পেশা ব্যবসা। এ ছাড়া তার নামে মামলা বিচারাধীন রয়েছে দুটি। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি।

খেলাফত মজলিশের মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম বেসরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক। তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা। সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫০ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৮ ভরি সোনা রয়েছে। ১.৩৬ একর কৃষিজমি ছাড়াও ২/৯০২ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে তার। যৌথ মালিকানায় আধাপাকা টিনশেড বাড়ি রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বর্তমানে হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নগদ অর্থ ১১ লাখ ২০ হাজার ও ৭ ভরি সোনা রয়েছে। পেশা আইন ব্যবসা। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ এলএলবি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ওবাইদুর রহমানের (মাহাবুব) বার্ষিক আয় ২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা। নগদ অর্থ না থাকলেও ৬ শতাংশ অকৃষি জমি, টিনশেড বাড়ি, স্ত্রীর নামে ৬ তোলা সোনা রয়েছে। পেশা শিক্ষকতা। শিক্ষাগত যোগ্যতায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিস উল্লেখ করেছেন।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের মেয়র প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী। তার নির্বাচনী হলফনামায় পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও এই খাতে তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বিভিন্ন উৎস থেকে সম্পদ রয়েছে তার নগদে ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকার। কৃষিজমি ও বাড়ি নেই তার, তবে ৫ ভরি সোনা রয়েছে। বরিশাল ও ময়মনসিংহে তার নামে দুটি মামলা রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিবিএস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads