• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
গণসংযোগে ফের অভিযোগ লিটন-বুলবুলের

মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

গণসংযোগে ফের অভিযোগ লিটন-বুলবুলের

  • রাজশাহী ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকাল শুক্রবার গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। তারা পৃথক স্থানে গণসংযোগের পাশাপাশি জুমার নামাজে অংশ নিয়ে মুসল্লিদের কাছে দোয়া চান। তবে এদিনও সাংবাদিকদের কাছে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন রাসিকের সাবেক এ দুই মেয়র।

গণসংযোগের সময় রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট চান আওয়ামী লীগ মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর আসাম ও শিরোইল কলোনি এলাকায় গণসংযোগ করেন। লিটন শালবাগানের পারহাউজের মোড় এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করে বউবাজার, রবের মোড়, আসাম কলোনি, শিরোইল কলোনি ইঞ্জিনিয়ারিংপাড়া, শিরোইল কলোনি স্কুল এলাকা, ছোট বোনগ্রাম এলাকায় যান এবং ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। গণসংযোগের সময় এসব এলাকায় প্রচার মিছিল বের করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

গণসংযোগের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার, অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। এসব বিষয়ে ইসিতে ইতোমধ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা অনেক উজ্জীবিত। ভোটাদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। আমরা শেষ দিন পর্যন্ত এমন পরিবেশ দেখতে চাই। এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে গতকাল শিরোইল কলোনি এলাকার বায়তুল মামুর জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন খায়রুজ্জামান লিটন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে দোয়া চান তিনি।

রাসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকাল সকাল ৮টা থেকে ২৬ এবং বিকালে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।

বুলবুল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাড়িতে বাড়িতে যান এবং ধানের শীষের জন্য দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় সমর্থকরা ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন।

গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ও ফেস্টুন সরকারদলীয় প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা ছিঁড়ে ফেলছে। এছাড়া পুলিশ কোনো মামলা ছাড়াই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জটিল মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাশি করছে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে প্রতিনিয়ত বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বুলবুল বলেন, এই অবস্থা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তিনি অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।

গণসংযোগে বুলবুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের অন্য নেতারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads