• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সিলেটবাসী আমার পক্ষে

আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

কামরান-আরিফের দাবি

সিলেটবাসী আমার পক্ষে

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৮

আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। গতকাল শুক্রবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার বরাবরে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের প্রমাণ নিয়ে কামরানের পক্ষে এ অভিযোগ করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দিবাকর ধর রাম। এতে অতিরিক্ত মাইক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে সিসিক নির্বাচনের বিভিন্ন পদপ্রত্যাশী প্রার্থীরা মাইক ব্যবহারের বিধি মানছেন না বলে দেখা গেছে। কোনো কোনো প্রার্থী দুই থেকে তিনটি মাইক ব্যবহার করে প্রচার চালাচ্ছেন।

আরিফের বিরুদ্ধে কামরানের অভিযোগ সম্পর্কে সিসিক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা গতকাল বিকালে জানান, মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত জানানো সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

দিবাকর ধর রামের ভাষ্যমতে অভিযোগে বলা হয়েছে, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী একজন মেয়র প্রার্থী তার মাইকিং করার জন্য শুধু একটি চোঙ্গার মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু বিএনপির প্রার্থী একটি মাইকের পরিবর্তে তার নির্বাচনী প্রচারের কাজে নিয়োজিত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুটি মাইক ব্যবহার করেছেন। অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ একটি স্থিরচিত্র সংযুক্ত করে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন দিবাকর ধর রাম।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সিসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীই মাইক ব্যবহারে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। কাউন্সিলর প্রার্থীদের পর্যন্ত একসঙ্গে দুই থেকে তিনটি মাইক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।

নির্বাচন আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোন প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একই সঙ্গে পথসভার জন্য একটি এবং নির্বাচনী প্রচারণার জন্য একটি অধিক মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্র ব্যবহার করিতে পারবেন না। পাশাপাশি মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার বেলা ২ ঘটিকার পূর্বে এবং রাত ৯ ঘটিকার পরে করা যাবে না।’

নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- মেয়র পদপ্রার্থী, কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কেউই মাইকের সংখ্যার বিষয়টি মানছেন না। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় একই সঙ্গে একাধিক মাইকের ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সবাই মাইক ব্যবহারের সময়সীমা মেনে চলছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads