• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সিলেটের উন্নয়নে এক থাকার প্রত্যয় আরিফ-কামরানের

সিলেটের মেয়র পদপ্রার্থী আরিফ-কামরান

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

সিলেটের উন্নয়নে এক থাকার প্রত্যয় আরিফ-কামরানের

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৮

সিলেটের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল রোববার দুপুরে একটি সংলাপে অংশ নিয়ে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত এই দুই মেয়র প্রার্থী।

‘শান্তি জিতলে জিতবে দেশ’ স্লোগানে দুপুরে নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে ‘সংলাপে নাগরিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করা হয়। এর যৌথ আয়োজক ছিল ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল, ইউএসএইড ও ইউকেএইড।

সংলাপে প্যানেল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এবং বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

সংলাপের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক (কার্যক্রম) আমিনুল এহসান। অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নাগরিক অগ্রাধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুধীজনরা কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। কর্মশালা থেকে নগর উন্নয়নে প্রাপ্ত বিভিন্ন পরামর্শ ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় দুই মেয়রপ্রার্থীর সামনে। পরে তারা এগুলোর ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন। নগরকে সাজানোর ব্যাপারে তুলে ধরেন নিজেদের পরিকল্পনাও। দুই মেয়র প্রার্থীই আগামীদিনগুলোয় সম্মিলিতভাবে নগরকে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সিসিকের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি আমার বিগত দায়িত্বের পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় তিন বছরই ছিলাম সরকারের হেফাজতে। সে কারণে আমি নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে পারিনি। মাত্র দুই বছরে যতটুকু কাজ করেছি, সেগুলো সবাই জানেন। নগরীর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। সেটি নিরসনে আমি নিরন্তর কাজ করেছি। যার সুফল নগরবাসী পাচ্ছেন। নগরবাসীকে উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য আমরা সিটি করপোরেশনকে ডিজিটালাইজড করেছি। এখন নগরবাসী ঘরে বসেই সিটি করপোরেশনের অনেক সেবা নিতে পারছেন।’

আরিফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, ‘নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কাজ করা হয়েছে। ধোপাদীঘি পাড়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, যার মাধ্যমে নগরবাসী পাবেন নির্মল নিঃশ্বাস গ্রহণের স্থান। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ফুটপাথ অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে হকাররা রাজপথ ছাড়ছেন না। তারা আদালতের নিষেধও মানছে না। ইনশাআল্লাহ আমি আগামীতে সুযোগ পেলে কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করব না। এ সিলেট নগরীকে সত্যিকারের একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত নগর হিসেবে গড়ে তুলব।’

সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘নগরীর অন্যতম সমস্যা মাদক। এটির নিরসনে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের নিয়ে ৩০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো যুদ্ধ করব। ইনশাআল্লাহ এ পুণ্যভূমি মাদকমুক্ত হবে। নগরীর যানজট সমস্যার জন্য হকাররা একা দায়ী নয়। এদের সঙ্গে যানবাহনগুলোও দায়ী। যানজট নিরসনে নগরীর ব্যস্ততম স্থানে একাধিক বহুতল পার্কিং জোন নির্মাণ করব। নগরীর বেকার যুবসমাজকে কাজে লাগাতে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।’

আরিফের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘আমার ভাই সদ্য সাবেক মেয়র বলেছেন নগরী জলাবদ্ধতামুক্ত হয়েছে কিন্তু সেটি বাস্তবে কতটা হয়েছে, সেটি নগরবাসী দেখতে পেয়েছেন কিছুদিন আগে। তার সময়ে নগরীর ছড়া-খাল উদ্ধারে ২০০ কোটি টাকারও বেশি সরকারি বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু আমার সময়ে আমি মাত্র ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ করেছি। ৯টি ছড়াকে অবৈধ দখলমুক্ত করেছি। এ নগরীর ছড়াগুলো দিয়ে অতীতে ছোট ছোট নৌকা চলাচল করেছে। কিন্তু এসব বিষয় এখন অলীক কল্পনা বলা চলে। আমি চাই সেদিন আবার ফিরে আসুক। নগরীর ছড়াগুলো সত্যিকার অর্থে দখলমুক্ত হোক। আমি সুযোগ পেলে সেটি করব। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সুরমা নদী খনন করা প্রয়োজন। আমি সুরমা নদীকে খনন করে এটিকে টেমসের মতো করে গড়ে তুলতে চাই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads