আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তাদের দাবি নাকচ করে দিয়েছে। গতকাল বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই ছয় দফা দাবি জানান।
সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে মঈন খান সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ছয় দফা লিখিত দাবি সিইসিকে দিয়েছে। দাবিগুলো হলো- নির্বাচনের দিন তিন সিটিতে সেনা মোতায়েন, নেতাকর্মীদের অহেতুক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আটক না করা, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না করা, এমপি ও মন্ত্রীসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রচার থেকে দূরে রাখা, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন এবং গাজীপুর-খুলনা সিটির ভোটের অনিয়মের পুনরাবৃত্তি রোধ করা। তিনি বলেন, খুলনা ও গাজীপুরে যেমন ভোটই হোক না কেন, বিএনপি এখনো ইসির ওপর আস্থা হারায়নি। দেশের মানুষের মনে আস্থার ঘাটতি হয়েছে। বিএনপি আশা করে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন সিটিতে ইসি সঠিক ভূমিকা পালন করে আস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ইসিকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি।
প্রতিনিধিদলে মঈন খানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।
ইসির নাকচ : বিএনপি প্রতিনিধিদলের পর সাংবাদিকদের কাছে ইসির অবস্থান তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। সেনা মোতায়েন নিয়ে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। সিসি ক্যামেরা গাজীপুরেও ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে তিন সিটিতেও কিছু কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে। এখন পর্যন্ত তিন সিটিতে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। পরিবেশ ভালো রাখার জন্য ইতোমধ্যেই প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাহাদৎ হোসেন বলেন, গ্রেফতার করা নেতাকর্মীদের তালিকা বিএনপি দিয়েছে। কাউকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। ইসি পুলিশ প্রশাসনকে পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি জানান, বিএনপিকে তাদের পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। তালিকা দিলে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে তাদের হয়রানি না করার জন্য বলা হবে।
