• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে 

তফসিল অনুযায়ী আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার ও গণসংযোগের সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন

প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ মধ্যরাতে 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০১৮

দেশের তিন সিটি করপোরেশন রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৩০ জুলাই (সোমবার)। তফসিল অনুযায়ী আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার ও গণসংযোগের সুযোগ। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া এ নির্বাচনের শেষ সময়ে এসে সর্বশক্তি দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত পদের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এদিকে সিটি করপোরেশন ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। 

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক), বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচনে পথসভা, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংনির্ভর প্রচারণা ও গণসংযোগের আজ শেষ দিন। 

রাসিক নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান ও গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ। 

বরিশাল সিটিতে সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত ইকবাল হোসেন তাপস, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওবাইদুর রহমান মাহবুব গতকাল গণসংযোগ করেছেন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী বশির আহমেদ ঝুনু এতদিন হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালালেও তিনি নৌকায় সমর্থন জনিয়েছেন। 

সিলেটে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিপিবি-বাসদের আবু জাফর, ইসলামী শাসনতন্ত্রের ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, এহসানুল হক তাহের গতকাল নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। নির্ধারিত সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেও বিএনপি প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। 

নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান গতকাল নগরীর শেখঘাট ও চালিবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন। ধানের শীষের আরিফুল হক চৌধুরী জেলা পুলিশ লাইন কোয়ার্টারে গণসংযোগ করেন। বাদ জুমা দরগাহ গেটে গণসংযোগে অংশ নেন তিনি। একই সঙ্গে চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার এবং বন্দরবাজারে ধানের শীষের সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন। 

সিলেট নগরীতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচনী উৎসব বিরাজ করছে। নির্বাচন উপলক্ষে যেকোনো ধরনের নাশকতা, সহিংসতা, সংঘর্ষ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধে যানবাহনের পাশাপাশি অস্ত্র বহনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। আর নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোট গ্রহণের দিন সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, নসিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইকসহ যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অনুমোদিত সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা এ ঘোষণার আওতায় পড়বেন না।

কমিশন সূত্র জানায়, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এ নির্বাচনে ভোটের আগের দু’দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্র পাহারায় ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। বাকি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ১০টি, রাজশাহীতে দুইটি ও সিলেটে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।

রাজশাহী সিটিতে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বরিশালে মুজিবুর রহমান ও সিলেটে মো. আলিমুজ্জামন রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।  

গত ১৩ জুলাই তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করে। ১০ জুলাই প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় প্রচারণা। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads