• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
স্থানীয় ভোটাভুটির প্রভাব পড়বে সংসদ নির্বাচনেও

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

বিশেষজ্ঞদের মত

স্থানীয় ভোটাভুটির প্রভাব পড়বে সংসদ নির্বাচনেও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটাভুটি জাতীয় পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও বিশিষ্টজনরা। তবে ভিন্নমতও দিয়েছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, সদ্য শেষ হওয়া স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের জন্য খারাপ ইঙ্গিত বহন করেছে। তাদের আশঙ্কা, বর্তমান নির্বাচন পরিচালনা বা ব্যবস্থা চলমান থাকলে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। সিটি নির্বাচনে অনিয়ম তদন্তসহ পুনর্নির্বাচনেরও দাবি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য বর্তমান কমিশনের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং পারদর্শিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

চলতি বছর সাত সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ক্ষমতাসীন দলের বেশিরভাগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। জয় পেয়েছেন বিরোধীদলীয় পার্টির প্রার্থীও। তারা ভোট বর্জনসহ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। একই মত ব্যক্ত করেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলও। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় নির্বাচন কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষ করে সাত সিটিতে যেভাবে পরিচালিত হলো, সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা ভোটের বাক্স ভরা হলো এটা অবশ্যই  জাতীয় নির্বাচনের জন্য খারাপ বার্তা। তবে জাতীয় নির্বাচন সারা দেশে। আমি মনে করি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রভাব সেখানে পড়বে না, ভোট কারচুপি সহজ হবে না। জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকারের যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য থাকা দরকার তার বিন্দুমাত্র দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর।

বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. শাহদীন মালিক বলেন, সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া তিন সিটি নির্বাচনসহ আরো আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলাম। এগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আগামীতে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন যেটাই বলেন নির্বাচন-নির্বাচনই। এখনকার নির্বাচন দেখে মনে প্রশ্ন জেগেছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব নাগরিক তাদের ভোট দিতে পারবে কি না। মানুষের প্রত্যাশিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার মতো দক্ষতা, যোগ্যতা এবং পারদর্শিতা কোনোটাই এই নির্বাচন কমিশনের যথেষ্ট নেই। এই কমিশন দিয়ে মানুষের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।

সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার তার বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, যে নির্বাচন আমরা দেখলাম তাতে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ার মতো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশনিসঙ্কেত। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে যাবে। 

তার মতে, নির্বাচন কমিশন যদি কঠোর হতে পারে, যেসব স্থানে অনিয়ম হয়েছে সেখানে তদন্ত করে নির্বাচন বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করে তাহলে মানুষের আস্থা বা বিশ্বাস হবে যে, এই কমিশন দিয়ে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব হবে।

বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনের চরিত্র আলাদা। স্থানীয় সমস্যার সমাধান যিনি করতে পারবেন তাকে বেছে নেন ভোটাররা। জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের চিন্তায় থাকে দেশের সামগ্রিক বিষয়। সে লক্ষ্যে লোক খোঁজেন। স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না। তবে যেহেতু দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন হয়েছে তাতে ভোটারদের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের পরিচিতি ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads