• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ইভিএম নিয়ে উৎকণ্ঠা স্বাভাবিক : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

ইভিএম নিয়ে উৎকণ্ঠা স্বাভাবিক : সিইসি

সংসদ চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার নিয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজমান উৎকণ্ঠাকে স্বাভাবিক বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ইভিএম নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, ‘যেকোনো নতুন উদ্যোগ বা আবিষ্কার বা নতুন প্রযুক্তি নিয়ে উৎকণ্ঠা থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা এটির ব্যবহার, উপকারিতা সম্পর্কে এখনো তাদের (ভোটার) জানাতে পারিনি। পর্যায়ক্রমে তারা সব জানতে পারবেন।’ প্রশিক্ষণ আর প্রচার ভালো হলেই এর ইতিবাচক প্রভাব গ্রামগঞ্জে, ভোটার, রাজনৈতিক মহল ও প্রার্থীর কাছে পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি। প্রযুক্তি এখন আর বাক্সের মধ্যে বন্দি নেই, তা মানুষের হাতে হাতে, চিন্তার জগতে প্রবেশ করেছে মন্তব্য করে নুরুল হুদা বলেন- ‘দুর্ভাগ্যজনক হলো আমরা নির্বাচন কমিশন এখনো সেই ধানি ব্যাগ, সেই ঘোড়ার গাড়ি, রিকশা-ভ্যান দিয়ে নির্বাচনী সামগ্রী বহন করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যেতে হয়। রাতে পাহারা দিতে হয় কখন এসে বাক্সের মধ্যে ছিনতাইকারী ব্যালট পেপার ঢুকিয়ে দেবে- এসব চিন্তা করতে হয়।’

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি না, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় মন্তব্য করে সিইসি বলেন, আইনি ভিত্তি পেলে রাজনৈতিক মহলসহ অংশীজনের সমর্থন নিয়ে ইভিএম ব্যবহার শুরু করবে কমিশন। সে ক্ষেত্রে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে দৈব চয়ন ভিত্তিতে কিছু আসন বা কেন্দ্র বাছাই করে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে, সংসদ যদি মনে করে, তাহলেই আইন সংশোধন হবে এবং জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। কোনো ত্রুটি থাকলে তা ব্যবহার করা হবে না। আমরা এখনো প্রস্তুতিমূলক অবস্থানে রয়েছি, এটাকে মাথায় রাখতে হবে। প্রশিক্ষণ নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি সরকার আইন প্রণয়ন করে, যদি সেটা ব্যবহার করার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদের থাকে, তখন আমরা এটা র্যানডম ভিত্তিতে সারা দেশে ব্যবহার করার চেষ্টা করব। স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইনগত কাঠামো আমাদের রয়েছে। ইভিএম যদি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয় (জাতীয় নির্বাচনে), কেবল তখনই যতখানি ব্যবহার সম্ভব ততখানি করা হবে।’ সিইসি দাবি করেন, ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন আয়োজনে আর্থিক সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না বলে এ পদ্ধতি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির সামনে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচলিত ব্যালট পেপারের পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহার করতে ইতোমধ্যে নির্বাচনী আইন (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২) সংশোধনের প্রস্তাব কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে। সংসদে বিল পাসের আগে এখন বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভার সম্মতির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads