• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সংসদ নির্বাচনে তৎপর হতে পারে জঙ্গিরা

সংসদ নির্বাচনে জঙ্গিরা তৎপর

প্রতীকী ছবি

নির্বাচন

গোয়েন্দাদের শঙ্কা

সংসদ নির্বাচনে তৎপর হতে পারে জঙ্গিরা

উত্তরাঞ্চলে ছদ্মবেশে তৎপরতা চালানোর কথা স্বীকার গ্রেফতার জঙ্গিদের

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা নিয়ে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার পাঠানো প্রতিবেদনের পর জেলা ও থানা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক ও সজাগ থাকার কথা বলা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নব্য জেএমবি গঠন করলেও নিশ্চুপ গ্রুপটি সক্রিয় হতে চেষ্টা করছে। এ গ্রুপ বিভিন্ন পেশার আড়ালে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গে । এ ব্যাপারে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম চলছে। আগের মতো সক্রিয় নয় তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযানে জঙ্গিদের ভিত বেশ নড়বড়ে। তারা বিচ্ছিন্নভাবে নাশকতামূলক তৎপরতার চেষ্টা করতে পারে। বড় ধরনের হুমকি নেই। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়লে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে নেই। জঙ্গিরা কোন এলাকায় কী ধরনের তৎপরতা চালাতে পারে সেটা আমরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।

বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সংগঠনের নাম থেকে বাংলাদেশ শব্দটি বাদ দিয়ে করেছে জামাআ’তুল মুজাহিদীন। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধনগর জেলার বৃহত্তর নয়ডার সুরজপুর থেকে  মোশারফ  হোসেন ওরফে মুসা ওরফে তেজরুল ইসলাম ওরফে রেজাউল করিম এবং রুবেল আহমেদ ওরফে মনিরুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি আটক হয়। তারা ভারতের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং নির্বাচনকালীন বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা চালানোর পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে।

সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতরে অর্ধবার্ষিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অপরাধ পর্যালোচনায় আইজিপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, জেএমবি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া জঙ্গিরা এখন  দোকানদার-হকার, মিস্ত্রি, বাস-ট্রাকচালকের সহকারী সেজে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া ঠেকাতে বাইরের লোকদের দলে না টেনে নতুন বেশে জঙ্গিরা নিজেদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকেই এখন জঙ্গিবাদী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করছে।

তিনি আরো জানান, সম্প্রতি লোকমান হাকিম নামে এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে নগরীর মতিহারের জোকাবিলে শারীরিক ও অস্ত্র চালানো প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে। শুধু লোকমান নয়, এর আগে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরাও জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ছদ্মবেশ নিয়ে এখন তারা তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads