• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

দিনাজপুরে সিইসি

সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সুষ্ঠু, ত্রুটিমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যারা বাধা সৃষ্টি করতে পারে তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হুদা এসব কথা বলেন। সিইসি জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাব, আনসার বাহিনীর সদস্য এবং তার অধীনস্থ নির্বাচন কমিশনের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিনি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে প্রাপ্ত মতামত পর্যালোচনা করে মাঠ পর্যায়ে যারা ভোটগ্রহণের দায়িত্বে এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের উপকরণ সরবরাহ ও সহায়তা প্রদানে কোনো ত্রুটি থাকবে না।

নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে সে সম্পর্কে সিইসি বলেন, একজন ভোটার তার বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ভোট দিয়ে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসতে পারে সে ধরনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ভোটগ্রহণের সময় কোনো অবহেলা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না।

ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহারের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আইন প্রণয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই ব্যবস্থা চালু থাকলে ভোট চুরি, জাল ভোট প্রদান বা ভোটের বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা কোনোটি ঘটবে না। আগামীতে জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলায় নির্বাচন কমিশনের স্টল থেকে ভোটারদের ইভিএম ব্যবহারে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানো হবে।

তিনি জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সময়সীমা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ড. আ ন ম আবদুছ ছবুরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, দিনাজপুর বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল মোর্শেদুর রহমান, র্যাব-১৩ ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সোহেল হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (রংপুর) জিএম সাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, ভারপ্রাপ্ত আনসার অ্যাডজুট্যান্ট মোতালেব হোসেন, ডিজিএফআইয়ের উপপরিচালক জুলফিকার রহমান, এনএসআইয়ের উপপরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম মামুন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ ইবনে ফজল প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সিইসি নুরুল হুদা নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads