প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোট করতে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কথায় নয় বরং ভোটারের স্বার্থরক্ষায় কাজ করতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনে বুথ বসানো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধ থাকে। এর কিছু কিছু যৌক্তিক। তবে আমাদের রাজনৈতিক দলের কথায় নয়, বরং ভোটারের স্বার্থরক্ষা করে কাজ করতে হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনের পর ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, আগের ব্যবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। যেমন ব্যালট বাক্স রাত থেকে পাহারা দিতে হয়। ইভিএমে লাগে না। বরং ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল দিনের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে প্রকাশ করা যায়।
সিইসি জানান, রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন। এতে পোলিং এজেন্টরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হবে। তাদের কী কী কাজ, কী দরকার জানা থাকলে নির্বাচন পরিচালনা সুবিধা হবে। তিনি বলেন, এবার ৪০ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে দুই লাখেরও বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। সেক্ষেত্রে অন্তত ১০ লাখের মতো পোলিং এজেন্ট থাকতে পারে।
সভায় আরো বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সময় নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইটিআইর পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, উপপরিচালক মো. ফজলুর রহমান।
