• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর

জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ নভেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। ভাষণে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার।

নির্বাচনী প্রচারণায় সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির অনুকূলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, প্রার্থী, প্রার্থীর সমর্থক এবং এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হয় বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হন তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর কঠোর নির্দেশ থাকবে।

আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে তিনি জানান, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭ লাখ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের দক্ষতা নিরপেক্ষতা ও একাগ্রতার উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তুলে ধরে কে এম নুরুল হুদা বলেন, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে।

সরাসরি অথবা অনলাইনেও মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধানও রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরাতন পদ্ধতির পাশাপাশি ভোট গ্রহণে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সিইসি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইভিএম ব্যবহার করা গেলে নির্বাচনের গুণগত মান উন্নত হবে এবং সময়, অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হবে। সে কারণে শহরগুলোর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা থেকে দ্বৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় বেছে নেয়া অল্প কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্ম, জাত, বর্ণ ও নারী-পুরুষভেদে সকল ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোট শেষে নিজ নিজ বাসস্থানে নিরাপদে অবস্থান করতে পারবেন। এসব নিয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পরিপত্র জারি করা হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ থেকে থাকলে রাজনৈতিকভাবে তা মীমাংসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জনগণের মালিকানার অধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়; নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরি হয়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে।

প্রধান নির্বাচন কশিনারের ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হয়। বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও সিইসির ভাষণ সম্প্রচার করে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads