• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সব দল একমত হলে পেছাতে পারে নির্বাচন

নির্বাচন কমিশন হেলালুদ্দীন আহমদ

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

সব দল একমত হলে পেছাতে পারে নির্বাচন

ইভিএম কেন্দ্রগুলোয় থাকবে সেনাবাহিনী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৮

নিবন্ধিত সব দল চাইলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন হেলালুদ্দীন আহমদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি নির্বাচনের একটি তফসিল দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সব দল যদি পেছানোর ব্যাপারে একমত হয় তাহলে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে সেসব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী রাখার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব। তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেসব যন্ত্র পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী রাখা হবে। কারণ এটি একটি টেকনিক্যাল বিষয়। টেকনিক্যাল বিষয় এবং আস্থার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারা কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আমরা যদি সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করি, তারা যদি রাজী হন তাহলে ইভিএম কেন্দ্রগুলোর ওইসব এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিযুক্ত থাকবেন। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে।

তফসিল ঘোষণার পর সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ হওয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু তারা আগে থেকেই অনুমতি নিয়েছে এবং নেতারা রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন, স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাদের এই মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে হলে রোববারের মধ্যে ইসিকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে সময় চাইবেন- এ ব্যপারে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে জানানোর জন্য আইনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারপরও যদি কোনো দল সময় চায় এবং কমিশন মনে করে সময় দেওয়া প্রয়োজন তাহলে সেটার এখতিয়ার সম্পূর্ণ কমিশনের। নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধিত দলগুলো যদি এই সময়ের মধ্যে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধনহীন রাজনৈতিকদলগুলোকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা অন্যদলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে।

বিল এবং ঋণ খেলাপি হলে প্রার্থিতা বাতিল : সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অবশ্যই সব ধরনের সরকারি বিল পরিশোধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ১২ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ অন্যান্য পরিষেবা বিল পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। গতকাল শনিবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এমন নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন আগে এসব বিল পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ যেহেতু মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর। সে হিসেবে প্রার্থী হতে হলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে এসব বিল পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া কৃষি কাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ ব্যতীত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখের সাতদিন পূর্বে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন বলেও জানানো হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads