বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন ঘেঁষা সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ জেলায় ৪টি আসন নির্ধারণ করেছেন নির্বাচন কমিশন। এর আগে এ জেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ টি আসন ছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরার এ চারটি আসনে সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশ আগে থেকেই নিজ নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় কাজ শুরু করেছেন।
এরই অংশ হিসেবে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি। এসব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের উঠান বৈঠক, সভা, সমাবেশ, মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করতে দেখা গেছে। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেওয়ায় নড়ে চড়ে বসতে শুরু করেছে ২০ দলীয় ঐক্যজোটের শরীক দল সদ্য নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতও। তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও তলে তলে সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। এমনকি তারা সম্প্রতি ৫০ টি আসনের দাবি জানিয়ে বিএনপি’র নিকট তালিকাও পাঠিয়েছেন।
তবে, এই মুহুর্তে সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শরিকদের জন্য কোন কোন আসন ছাড় দিতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ সাতক্ষীরার চারটি আসনেই আ.লীগ-বিএনপি’র যেমন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে, তেমনি শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে তাদের শরিক জামায়াত, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি ও জাসদেরও।
তাই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে অস্বস্তি ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে তালা-কলারোয়া ও পাটকেলঘাটায় দলীয় প্রার্থীর দাবিতে কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশও করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সব মিলিয়ে সাতক্ষীরার চারটি আসনেই আ.লীগ ও বিএনপি শরিকদের চাপে ভাল নেই।