প্রশাসনের ও পুলিশ নিয়ে বিএনপির ঢালাও অভিযোগ নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তবে দলটির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ইসি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসিতে পাঁচটি চিঠি পাঠান।
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনাররা নিজেরা বসে নিয়েছেন। এখানে কানো চাপে বা পরামর্শে সিদ্ধান্ত হয়নি।’
প্রশাসনের রদবদলের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঢালাওভাবে প্রস্তাব কমিশন গ্রহণ করবে না। প্রত্যেকটি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন তা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার যাতে কোনো ধরনের বৈঠক না করে সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন হওয়ায় তাদের যাতে অন্য কোনোভাবে কেউ ডেকে সভা না করে সে জন্য ইসি উদ্যোগ নিবে। এসব ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।