মির্জা আব্বাসের প্রচারণায় লাঠি বাঁশ নিয়ে হামলায় রক্তাক্ত তিনি।
আজ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা-৮ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে এই হামলা হয়। তবে কর্মীরা তাকে ঘিরে ধরায় শারীরিকভাবে তার কোনো ক্ষতি হয়নি। এই হামলায় ছাত্রদল নেতা আপেল মাহমুদসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেগুনবাগিচার রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে থেকে ধানের শীষের মিছিলসহ প্রচারণা শুরু করেন আব্বাস। শিল্পকলা একাডেমি, দুর্নীতি দমন কমিশন হয়ে পুরানা পল্টনের কালভার্ট সড়কের দিকে রওনা দিলে হঠাৎ করে লাঠিসোঠা নিয়ে একদল যুবক অতর্কিত হামলা করে।
হামলার পর তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস এই হামলার জন্য সরকারি দলকে দায়ী করেন। তিনি জানান, প্রচারণায় নামার আগেই তিনি শাহবাগ ও রমনা থানাকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শাহবাগ থানা চিঠি গ্রহণ করলেও রমনা থানা তা গ্রহণ করেনি।
এর আগে প্রচারণার শুরুতে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিজ বাড়ির সামনেও নির্বাচনী পোস্টার লাগাতে পারছি না। এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সবখানে বাধার মুখে পড়ছি। আমাদের প্রোগ্রাম ছিল বিজয়নগর। রাজমনি থেকে শুরু করার কথা ছিল। ওখানে গিয়ে দেখি শত শত পুলিশ ব্যারিকেড।’
আব্বাস বলেন, ‘আপনারা দেখুন সবখানে আমার প্রতিপক্ষের পোস্টার। আমার সব পোস্টার বাড়িতে পড়ে আছে। একটা পোস্টারও লাগাতে পারছি না। এই দেশে কীভাবে আমরা বেঁচে থাকবো? আমার মনে হয় রোহিঙ্গাদের মতো মর্যাদাও এই দেশের জনগণের নাই।’