• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
অভিমান ভেঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পাশে বিএনপি

হবিগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

হবিগঞ্জ-২

অভিমান ভেঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পাশে বিএনপি

  • হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

অবশেষে মান- অভিমান ভেঙ্গে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের প্রত্যাশিত প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় সবাই নিস্ক্রিয় ছিল। এতদিন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী প্রচারণায় ছিল অনেকটাই একা। ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছিল বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামায় এবং জাতীয় পার্টি প্রার্থী নিজেকে সংখ্যালঘুদের প্রার্থী দাবী করে প্রচার- প্রচারণা করায় অনেকটাই বিপদে ফেলে দিয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে। কারণ বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও এখানে রয়েছে আলেম- উলেমা ও সংখ্যালঘুদের প্রচুর ভোট রয়েছে।

হবিগঞ্জ-২ আসনটি (বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ) উপজেলা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৯ শত ৭২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৭শত ৫২ জন ও মহিলা ভোটার ১লক্ষ ৫৪ হাজার ২ শত ২০জন।

দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন- দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়াচংয়ের বাসিন্দা ডাঃ আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যন্ত ভাটি অঞ্চলে করছেন। ফলে আসনটিতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা যেকোন সময়ের তুলনায় বেশ ভালো। তাদের ধারণা এবার জীবন প্রার্থী হলে বিজয় নিশ্চিত ছিল। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সাখাওয়াত হাসান জীবন। এবারও তিনি দল থেকে মনোনয়ন পান। কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর এ আসনে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে নিবার্চন নিয়ে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যফ্রন্টের এ প্রার্থীকে নিয়ে কোন নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়নি। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবদুল বাছিত আজাদ বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু তাদের মাঠে নামতে ব্যর্থ হন। পরে গত ১৬ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবনের সাথে তার বাড়িতে দেখা করে তিনি নির্বাচনে সার্বিক সহযোগিতা চান। এ সময় সাখাওয়াত হাসান জীবন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন- এবার তিনি নিজে নির্বাচন না করলেও সিলেটের ১৯ আসনে দলের নির্বাচনী কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। এ কারণে হয়তো বেশি সময় দিতে পারবেন না। তবে মাঝে মধ্যে এলাকায় আসার চেষ্টা করবেন তিনি। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে সবধরণের সহযোগীতা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ বলেন-নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়া তাদের মনে কিছুটা মান- অভিমান ছিল। আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত মেনে নিয়ে দলের স্বার্থে নেতাকর্মীরা মান- অভিমান ভুলে গেছেন। তিনি আরো বলেন- কে মনোনয়ন ফেল এটা বিষয়টি নয়। প্রতীকই মুখ্য বিষয়। তাই ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নেতাকর্মীরা একট্রা হয়ে মাঠে নেমেছে।

এছাড়া এ আসনে রয়েছে আলেম- উলেমাদের প্রায় ৩০ হাজার ভোট। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হওয়া আলেম- উলেমাদের ভোট ঐক্যফ্রন্টের দিকেই থাকবে।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা এতদিন মাঠে না থাকায় সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মজিদ খান। এ আসনে মহাজোট সমঝোতায় না পৌঁছানোয় এখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, উভয় দলের প্রার্থী রয়েছে। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। তিনি নিজেকে সংখ্যালঘুদের প্রার্থী দাবি করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কারণ এ আসনে সংখ্যালঘু ভোট প্রায় ৮৫ হাজার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads