• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ফরিদগঞ্জে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন

চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদানের দৃশ্য। ছবিটি আজ রবিবার সকালে নেওয়া

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

চাঁদপুর-৪ আসন

ফরিদগঞ্জে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীর পুন: নির্বাচনের দাবী

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

বড় ধরনের কোন হামলা ভাংচুর, সংহিসতার ছাড়াই প্রায় শান্তিপূর্ণ ভাবে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট সম্পন্ন হওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক শফিকুর রহমান ভোটারসহ সকলকে ধন্যবাদ জানালেও বিএনপি প্রার্থী বলেছেন বিপরীত কথা। রোববার দুপুরে বিএনপি প্রার্থী লায়ন হারুনুর রশিদ তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এবং সহকারি রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি ভোট কারচুপির দাবী করে নির্বাচন বাতিল করে পুন: নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী করেছেন।

আজ রোববার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগ সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। ভোট গ্রহণ কক্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর , ইসলামী আন্দোলন, বাসদ, জাকের পার্টির এজেন্ট দেখা গেলেও বিএনপি এজেন্ট চোখে পড়ে নি। সকালে ২৯নং তেলিসাইর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তুচ্ছ ঘেটনাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যের সাথে লোকজনের সংর্ঘষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮ রাউ- শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। গুলিতে কেউ আহত না হলেও ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩জন আহত হয়েছে বলে সহকারি রিটানিং অফিসার মো: আলী আফরোজ জানিয়েছেন। তবে বিএনপি প্রার্থী ওই ঘটনায় তার তিনজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবী করেন।

এদিকে দুপুরে বিএনপি প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ নিজ বাড়িতে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, রোববার সকাল থেকেই উপজেলার ১১৮টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক বোমাবাজী করে জনমনে আতংক ছড়ায়। বিএনপির এজেন্টকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।

এর আগে পূর্ব রাতে অস্ত্রধারীরা ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জিম্মি করে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ভোট নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স বন্দী করে রাখে। ফলে তিনি নির্বাচন বাতিল করে পুন: নিার্বচনের দাবী করেন । পরে তিনি একই দাবী জানিয়ে সহকারি রির্টানিং অফিসারের মাধ্যমে জেলা রির্টানিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads