• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
জামানত হারিয়েছেন বগুড়ার ৩৪ প্রার্থী

জামানত হারিয়েছেন বগুড়ার ৩৪ প্রার্থী

নির্বাচন

জামানত হারিয়েছেন বগুড়ার ৩৪ প্রার্থী

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার ৭টি আসনে মোট ৪৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে সদ্য সাবেক হওয়া এক সাংসদ, বিএনপির সাবেক এক সাংসদ এবং আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমও রয়েছেন।

জেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী একটি আসনে কোনো প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোটও না পান তাহলে তিনি জামানত হারাবেন। এবার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ২০ হাজার টাকা করে জমা দিতে হয়েছে।

দলগতভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৭ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ৩, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ২, কমিউনিস্ট পার্টির ২, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ২ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি আসনে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, জাকের পার্টি ও তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। দলীয় প্রার্থী ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে যে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তাদের মধ্যেও দুজন ছাড়া ৭ জনই জামানত খুইয়েছেন।

যারা জামানত হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী ও বগুড়া-১ আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী রফিকুল ইসলাম।

বগুড়া-৭ আসনে মোট ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫২ জন ভোট দিয়েছেন। জামানত ফেরত পেতে হলে সেখানে ন্যূনতম ৩৬ হাজার ৯৪৪ ভোট পেতে হবে। কিন্তু সেখানে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৪ ভোট। বগুড়া-১ আসনে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ১০৫ জন ভোটার। জামানত ধরে রাখার জন্য সেখানে প্রার্থীদের কমপক্ষে ৩৬ হাজার ১৩৯ ভোট পেতে হবে। সেখানে বিএনপি প্রার্থী সাবেক সাংসদ কাজী রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬১৩ ভোট। জামানত খোয়ানো হিরো আলম ভোট পেয়েছেন মাত্র ৬৩৮টি। ওই আসনে পরাজিত ৬ প্রার্থীর মধ্যে হিরো আলমই চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইদ্রিস আলী।

বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ জানিয়েছেন, নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা যদি প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশ ভোট না পান তাহলে নিয়ম অনুযায়ী জামানত হারাবেন। তারা কেউই জামানত হিসেবে দেওয়া ২০ হাজার টাকা আর ফেরত পাবেন না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads