• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
আশা আর আশঙ্কা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন

আশা আর আশঙ্কা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। মোট পাঁচ ধাপে এবারের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি ছাড়া সব দলই এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। অপরদিকে সব দলের অংশগ্রহণ না হওয়ায় উপজেলা নির্বাচন জৌলুস হারানোর আশঙ্কা করেছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে রিটার্নিং ও সহকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তারা আশা ও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিগত বছর ধরে যেমন প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়ে এসেছে, এবারো সে রকম প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবারই প্রথম রাজনৈতিক মনোনয়নে হওয়ার কথা। এর আগে কখনো হয়নি। কিন্তু সেসব নির্বাচন কি প্রতিযোগিতামূলক হয়নি? কেউ কাউকে ছাড় দেননি। প্রত্যেকেই সেখানে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নেন। প্রত্যেক প্রার্থী, সমর্থক এবং ভোটাররা কিন্তু সে নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখেন। যদি সেরকম কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা আপনাদের সামনে পড়ে, আপনারা ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে সেগুলো মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন। যাতে নির্বাচন কেন্দ্রে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। একটা জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। একটা জীবন একটা নির্বাচন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক হয়। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এটা দেখতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন ভোটার সারিবদ্ধভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে, আনন্দঘন পরিবেশে, নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকেন। এটা আমাদের এসব দেশের একটি বৈশিষ্ট্য। সেই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব আপনাদের হাতে।

তিনি আরো বলেন, এ দেশের মানুষ অন্যান্য মানুষের চেয়ে বেশি নির্বাচনমুখী, বেশি রকমের ভোটমুখী। সেই উৎসব তাদের মধ্যে আছে। সে কারণে তারা ভোট দেন। সুতরাং সেই মালিকের মালিকানা যাতে তাদের ভোটের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে পারেন, সেই ব্যাপারে আপনারা অবশ্যই সচেতন থাকবেন। সে ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।

একই অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। এতে এই নির্বাচন জৌলুস হারাতে বসেছে। নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রত্যেকেই নির্বাচিত হবেন এবং ওই পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য শব্দ দুটির ঔজ্জ্বল্য থাকে না। তারপরও আনুষ্ঠানিকতার কারণেই নির্বাচন করে যেতে হয়। আমি মনে করি, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, নির্বাচনের মৌলিক কাঠামো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য সহ্য করা হবে না। আমরা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো নির্বাচন করতে চাই না। নির্বাচনে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads