• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
শান্তিপূর্ণ ভোট ৭৮ উপজেলায়

প্রথম ধাপে দেশের চার বিভাগের ১২ জেলার ৭৮ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। গতকাল রাজশাহীর তানোর উপজেলার এক কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় নারী ভোটাররা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

শান্তিপূর্ণ ভোট ৭৮ উপজেলায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০১৯

দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে দেশের চার বিভাগের ১২ জেলার ৭৮ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়।  তবে ব্যালট পেপার ছিনতাই, অবৈধভাবে সিল মেরে জাল ভোট প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণ দেখিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৮টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

সিরাজগঞ্জ সদরে ভোটের আগের রাতে জাল ভোট দিতে সহযোগিতা করায় প্রিজাইডিং অফিসারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ভোটকেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। কুড়িগ্রামে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় ৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ভোটারের উপস্থিতির চেয়ে কাস্টিং বেশি হওয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে এক পোলিং এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারায় এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনয় কুমার। ভোটগ্রহণে অনিয়মের দায়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় রেজাউল করিম নামে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামানো হয় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। আগামীকাল পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা। নির্বাচনের দিন প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৪ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বিএনপি, বামপন্থি দলগুলোসহ অনেক রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা নির্বাচনী আমেজ-উত্তেজনা দেখা যায়নি। প্রার্থী না থাকায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে ইতোমধ্যে চেয়ারম্যানসহ মোট ২৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন।

ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও নির্বাচন হয় ৭৮ উপজেলায়। বিভিন্ন কারণে ১০ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

প্রথম ধাপে মোট প্রার্থী ৮৯৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৭৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৩ জন। এসব উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৫ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ২১৯টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৯ হাজার ১৫৯টি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads