বড় দল নির্বাচন বয়কট করায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিলেটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত রোববার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় ভোট নেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন জানায়, ওই দিন ৪৩ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি।
অতীতের তুলনায় প্রথম ধাপে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, বড় দল নির্বাচনে বয়কট করায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। এটাও একটা কারণ হতে পারে।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে মন্তব্য করে কে এম নুরুল হুদা বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু করে তুলতে এবং ভোটারদের নিরপেক্ষভাবে ভোট প্রদানে সহযোগিতা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যার কারণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য। এবার দ্বিতীয় ধাপের (১৮ মার্চ) নির্বাচনও সুষ্ঠু করে তুলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সিইসি বলেন, প্রশাসনের আন্তরিকতার ফলে ভোট উৎসব সুষ্ঠু হয়ে থাকে। প্রত্যেক ভোটার যেন বিনা বাধায় তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে যেনো কোনো ভোটারকে বাধা প্রদান না করা হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ভোট গ্রহণ শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোট গণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার স্বাক্ষর নিতে হবে।
এ সময় তিনি জাল ভোট প্রদান এবং বিশৃঙ্খলা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ।
সভায় সিলেটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।