• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
চলছে ১১৬ উপজেলায় ভোট গ্রহণ

চলছে ১১৬ উপজেলায় ভোট গ্রহণ

ছবি: বাংলার চোখ

নির্বাচন

চলছে ১১৬ উপজেলায় ভোট গ্রহণ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ মার্চ ২০১৯

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৭ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোট শুরু হয়েছে আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায়। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ভোটগ্রহণ। দেশের ১৬ জেলার ১১৬ উপজেলায় চলছে এই ভোটগ্রহণ। নির্বাচন উপলক্ষে এসব উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কমিশন থেকে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে কোনো রকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের আমেজ না থাকলেও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের দুদিন আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন মোট ৫ দিনের জন্য এসব উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৪ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় ভোট হয়, ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে ভোট হয় ৭৮ উপজেলায়। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হন ২৮ জন।

দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এ ধাপে তিনটি পদে ইতোমধ্যে ৪৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ছয় উপজেলায় ভোট হচ্ছে না। আর ছয় উপজেলার ভোটের তারিখ পেছানো হয়েছে। সে হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় ভোট হবে। এ ধাপে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১২ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১১ জন সংরক্ষিত পদে ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। সেলের সদস্যরা নির্বাচনের এক দিন আগে থেকে পরের দিন পর্যন্ত ইসিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবহিত করার পাশাপাশি নির্বাচন সামগ্রী তদারকি করবেন।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিতে হবে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮ মার্চ ভোটের দিন রেখে ১২৯ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ছয় উপজেলায় ভোটের দরকার পড়ছে না। আরো ছয় উপজেলার ভোট পিছিয়েছে ইসি। আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এজন্য ১৮ মার্চ ১১৬ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১২ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান।

ইসির তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে লড়ছেন ১ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৪ জন। এসব উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৭০৩৯টি, ভোটার ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন।

আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপের, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের এবং পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads