ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দাবী করলেও চোখে পড়ার মতো ভোটার উপস্থিতি ছিলনা। আবার প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ফরম ছিনিয়ে নেয়াসহ শারিরীক লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে জনবল, নিরাপত্তা রক্ষী, পোলিং বুথসহ সবই আছে। শুধু নেই প্রতিনিধি বাছাই করার জন্য ভোটার। যে ভোটার আছে তা পর্যাপ্ততো নয়ই বরং তা ভোটের রেওয়াজকে ম্লান করে দিয়েছে বলে প্রবীন ভোটারদের দাবী। সাংবাদিক আসলে তড়িগড়ি করে প্রার্থীদের ন্যুনতম কর্মীরা দৌড়ে গিয়ে ভোটার আনার আপ্রান চেষ্টা দেখা গেছে। কোথাও কোথাও প্রার্থীর কর্মীরা লাইনে দাঁড়িয়ে জানান দিচ্ছে আমরাতো আছি। এমনও ঘটেছে যে প্রাথমিক ও হাই স্কুল ছাত্র বা টোকাইরা কিছু ভোটার সেজে লাইনে আছে।
উল্লেখ্য যে, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করছে নৌকা প্রতীকে শাহিন মুন্সি ও জাতীয় পার্টির উপজেলা সেক্রেটারী এডভোকেট রবিউল হক রবি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করছে আ’লীগের রোখসানা সিদ্দিক ও জাতীয় মহিলা পার্টির উপজেলা সভানেত্রী ফারহানা নিগার আইরিন।
কিছু সংখ্যক ভোটার প্রদর্শিত হলেও একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থীদের অভিযোগ করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াছ বাচ্ছু জানান, দলীয় পোলিং এজেন্ট হিসেবে সে অলাতলী সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে তারদলীয় এজেন্ট ফরম ছিনিয়ে নেয় ও তাকে নাজেহাল করে বের করে দেয় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকেরা। এব্যাপারে স্থানীয় আ’লীগ সমর্থিত কর্মীরা অভিযোগ অস্বীকার করে। এ উপজেলায় ৬৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা- ১ লক্ষ ৯৩হাজার ৪২৩। তম্মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৮ হাজার ২৫৮ ও মহিলা ৯৫ হাজার ১৬৫ জন।