• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা

  • এ এইচ এম ফারুক
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যাবে আনুষ্ঠানিক প্রচার ও গণসংযোগ। শেষ সময়ে জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ফলে সংঘর্ষ ও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের অভিযোগ, ক্ষমতাসীনরা ভোটের কাছাকাছি সময়ে হামলা চালিয়ে মামলা দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ তাদের সঙ্গে আছে, তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তারা নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

দক্ষিণের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে বিএনপি পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। নৌকার পক্ষে উন্নয়নের যে গণজোয়ার, তা দেখে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছে।

উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়ারে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর এবার দক্ষিণের দুই বড় দলের প্রার্থীর তফসিল ঘোষণার পালা।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার কথা রয়েছে। আগামীকাল বুধবার ইশতেহার ঘোষণা করার কথা রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের।

ইশরাকের ইশতেহার প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইশরাক হোসেনের প্রথম লড়াই সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতি মুক্ত করা। বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহানগর ব্যবস্থাপনা, সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলাসহ ডজন বিষয়কে ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশনের সব উন্নয়নে, সংস্কার ও মেরামত কাজ নাগরিকদের চাহিদার ভিত্তিতে করা হবে, গঠন করা হবে নাগরিক কমিটি, নাগরিকদের সমস্যা জানতে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং ওয়ার্ডভিত্তিক অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, নগর পরিকল্পনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতে ন্যস্ত করার জন্য দাবি রাখবেন ইশরাক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তায় সিসিটিভি স্থাপন, মহল্লায় প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা প্রহরী নিশ্চিত করা হবে; কর্মজীবী নারীদের জন্য স্বল্পব্যয়ে আবাসন সুবিধা, কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে ডে-কেয়ার সেন্টার নির্মাণ, আধুনিক প্রযুক্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা, প্রত্যেকটা রাস্তার নিচে কমন ইউটিলিটি ট্যানেলের ব্যবস্থা করা যা কমন ইউটিলিটি ডাক্ট হিসেবে বেশি পরিচিত। কংক্রিটের তৈরি এই ট্যানেলের ভেতর দিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি,  টেলিফোন ও ইন্টারনেট লাইন বসানোর আলাদা আলাদা জায়গা থাকবে। এ ধরনের ট্যানেল থাকলে বিভিন্ন সার্ভিস প্রভাইডাররা লাইন বসানোর জন্য বারবার রাস্তা খনন করবে না, নতুন লাইন বসানো বা লাইন মেইনটেন্যান্স করাও সহজ হবে। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের ট্যানেল রয়েছে।

অপরদিকে তাপসের ইশতেহারে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্য বজায় রেখে উন্নত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে যে পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবেন, সেগুলোও থাকছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘পাঁচটি রূপরেখা- আমাদের ঐতিহ্যের ঢাকা, আমাদের সুন্দর ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা, আমাদের সচল ঢাকা এবং আমাদের উন্নত ঢাকা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঢাকাবাসীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আমি বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসী নৌকায় তাদের রায় দিয়ে আমাকে সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সচল ঢাকার যে রূপরেখা রয়েছে, সেখানে পর্যায়ক্রমে একটি মহাপরিকল্পনার আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সচল ঢাকা গড়ে তুলব। সেখানে রাস্তাঘাট হোক আর ফুটপাত হোক, সেগুলো অবমুক্ত করার ব্যবস্থা নেব। তবে এটা পর্যায়ক্রমে করতে হবে। কারণ যারা ফুটপাতে ব্যবসা করেন তারা আসলেই শোষিত। তাদের শোষণ করা হয় বিভিন্ন মিডলম্যানের মাধ্যমে।’

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আমরা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেব। এর আগে পুনর্বাসনের কথা বলা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তা নির্ধারণ করে একটি তথ্যভান্ডার সৃষ্টি করব। সেই তথ্যভান্ডার ব্যবহার করে যারা রাস্তায় ব্যবসা করেন তাদের একদিকে পুনর্বাসিত করব এবং পর্যায়ক্রমে ফুটপাত দখলমুক্ত করব।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads