• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
তিন উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন

তিন উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২০

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় রেখে সর্বেোচ্চ সতর্কবার্তা মধে্য তিনটি সংসদীয় উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করবে। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি তেমন চোখে না পড়লেও বেলা বাড়ার সাথে এই সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। 

করোনাভাইরান ছড়িয়ে পড়ার অশঙ্কার মধ্যে সতর্কতার বার্তা নিয়ে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনের ভোটাররা আজ সকাল থেকে নিজ নিজ কেন্দ্রে আসছেন।

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় জনসমাগম এড়ানো- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বার্তা দিলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের তারিখ বদল না করায় করোনা আতঙ্কে থাকা ভোটাররা কেন্দ্রে কতোজন আসবেন সেই প্রশ্ন রয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ইসি তিন আসনের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। শুক্রবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম, ব্যালট পেপার, ব্যালট বাপসহ ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

ভোটগ্রহণ-সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারাও নিজ নিজ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যু পেপার পাঠানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থাও। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে করোনা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারপত্র ও ব্যানারও পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি এবং আনসার সদস্য। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ স্ট্রাইকিং ফোর্সও।

এদিকে, শনিবার অনুষ্ঠেয় তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের মধ্যে কেবল ঢাকা-১০-এ ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বাকি দুই আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে শূন্য হয় ঢাকা-১০ আসন।

গত ২৭ ডিসেম্বর ইউনূস আলী সরকারের মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ এবং ১০ জানুয়ারি মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ঢাকা-১০ আসনের চিত্র : ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিএনপির শেখ রবিউল আলম রবি। মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন।

ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানা নিয়ে ঢাকা-১০ আসন।

সকালে ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোথাও বলার মতো ভোটের আমেজ না থাকলেও কেন্দ্রের আশে পাশে কিছু ভোটার, প্রার্থীদের এজেন্ট ও কেন্দ্রের ভেতরে নির্বাচন  কমিশনের লোকজন রয়েছেন । এছাড়া  কনো কনো কেন্দ্রে পোস্টার, ব্যানার পর্যন্ত নেই। 

ভোটের কারণে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঢাকা-১০ এলাকায়। গতকাল বিকেলে ধানমন্ডির সিটি কলেজের সামনে দেখা যায়, মোটরসাইকেল আটকাচ্ছে পুলিশ।

আর শনিবার ভোটের কথা শুনে অবাক হন একজন মোটরসাইকেল চালক।

 অন্যদিকে, গাইবান্ধা ও সাদুল্যাপুর প্রতিনিধি জানান, ঢাকার মতো ভোট দিয়ে আগ্রহ নেই গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনেও। এই আসনের উপনির্বাচনে কাগজে-কলমে চারজন প্রার্থী থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে রয়েছেন তিনজন।

তারা হচ্ছেন- নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পাটির প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান।

গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটকেন্দ্র ১৩২টি ও ভোটকক্ষ ৭৮৬টি। ভোটগ্রহণে ১৩২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং এক হাজার ৫৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবিসহ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

এই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী দু'জন। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রি। বিএনপি প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি।

বাগেরহাট-৪ আসনে ১৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন। ১০ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড ও র‌্যাবের ১০টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছেন ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও থাকছে পুলিশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads