• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ফিরছে মানুষ জাগছে ঢাকা

ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী

সংগৃহীত ছবি

সম্পাদকীয়

ঈদের ছুটি শেষ

ফিরছে মানুষ জাগছে ঢাকা

  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০১৮

তিন দিনের ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সড়কপথে এবারের ঈদ আনন্দযাত্রা ছিল অনেকটাই ঝক্কির। যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় পথে কাটাতে হয়। তথাপি মানুষের ঈদযাত্রাকে সুগম করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ঈদযাত্রার ভালো-মন্দের ভেতর দিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা ছিল সকলের। ঈদের ছুটির পর অফিস-আদালত শুরু হলেও নাড়ির বন্ধন ছিঁড়ে মানুষ তার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। এবারের ঈদযাত্রায় যেটুকু দুর্ভোগে মানুষ পড়েছিল, ফিরতি পথে সেটুকুও যাতে না থাকে, সেটাই আমাদের কাম্য। আর তার জন্য ঈদ-পূর্ব যাত্রায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যে তৎপরতা ছিল তার ঘাটতি যেন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি যাত্রীরাও তাদের ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা ফিরতি পথে কাজে লাগাবেন বলে আমরা মনে করি।

এবারের ঈদুল আজহায় বিগত বছর থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেওয়া উদ্যোগ অনেকাংশেই সফল হয়েছে। ঈদের পরদিন থেকেই অনেকটা পরিচ্ছন্ন হয়ে যায় রাজধানী ঢাকা। পরের দুদিনেও লক্ষ করা গেছে দুই সিটি করপোরেশনের তৎপরতা। এক্ষেত্রে দিন দিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বৃদ্ধি পাওয়া নাগরিক সচেতনতাও লক্ষণীয়। নিজ উদ্যোগে অনেকে বর্জ্য অপসারণ করেছেন। ফলে ঈদের পরদিনই অনেকটাই পরিচ্ছন্ন মহানগরীর চেহারা দেখা যায়। এই সচেতন উদ্যোগ আগামী দিনের সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি। তবে কোরবানির পশুর চামড়ার একটি নির্ধারিত মূল্য ধরে দেওয়া হলেও প্রতিবারই শোনা যায় বেশি দামে চামড়া বেচাকেনার কথা। এর মাধ্যমে চামড়া বিদেশে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

আমাদের দেশের ব্যবসায় অসততার কারণে সিন্ডিকেট গঠনের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঠকিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতাও অস্বীকার করা যাবে না। সাধারণ মানুষ কিংবা ছোট ব্যবসায়ীদের পক্ষে পশুর চামড়া ধরে রাখা সম্ভব ন য়। তার সুযোগ কোনো সিন্ডিকেট নিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলোকে দ্রুত মোকাবেলা করা এবং একটি কমপ্লায়েন্ট ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে পুরো চামড়া শিল্পকে উন্নীত করা দরকার। নানা সমস্যার পরও যখন চামড়া শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা বিদ্যমান, তখন এর পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি। কেননা বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে ভালো মানের কাঁচামালের প্রাপ্যতা রয়েছে। ফলে এ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পারলে দেশের অর্থনীতিও আরো সুদৃঢ় হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এ দিকটায় নজর রাখা দরকার।

যা হোক, সব মিলিয়ে এবারের ঈদ মোটামুটি নির্বিঘ্ন ছিল বলা চলে। পথের ক্লান্তি ভুলে ঘরমুখো মানুষ ফিরছে গন্তব্যে। ধীরে ধীরে মুখর হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। এবারের ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads